আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘সার্চ কমিটির মাধ্যমেই নির্বাচন কমিশনের নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনের সদস্য নিয়োগ হবে, বিকল্প উপায় ভাবার সুযোগ নেই। কোভিড পরিস্থিতি ও সময়স্বল্পতার কারণে আইন করারও সুযোগ নেই।’
করোনাভাইরাস পরিস্থিতি এবং সময়স্বল্পতার কারণে নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন করার মতো সুযোগ নেই বলে জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার মোহাম্মদপুরে ইউনিভার্সিটি অফ লিবারেল আর্টসে (ইউল্যাব) ‘স্মরণে শেখ মুজিব-সহস্রাব্দের শ্রেষ্ঠ বাঙালি’ স্মারক গ্রন্থের উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি নেতারা প্রতিদিনই বলছেন, নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে সার্চ কমিটি তারা মানেন না। তারা নির্বাচন কমিশন গঠনের চেয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চান।
বিষয়টি নিয়ে আইনমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘প্রথম কথা হলো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পরিষ্কারভাবে বলে দিয়েছেন যে সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে। এই যে সার্চ কমিটির কথা যেটা বলা হয়েছে, সেটা গঠন করা হয়েছিল সব রাজনৈতিক দলের অভিমত নিয়েই এবং সব রাজনৈতিক দল রাজি হওয়ার পরই গেজেট করা হয়।
‘যদিও সার্চ কমিটির গেজেটটা আইন নয়, কিন্তু এটা যেহেতু সবার কনসেন্সের মাধ্যমে হয়েছিল। মহামান্য রাষ্ট্রপতি সেটা গেজেট করেছিলেন। সেটা কিন্তু আইনের কাছাকাছি। আমি কিন্তু এখনও বলছি এটা আইন নয়, কিন্তু আইনের কাছাকাছি।’
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘তারপরও এই সার্চ কমিটি দ্বারা কয়েকটি নির্বাচন কমিশনের সদস্য মনোনীত করা হয়েছিল এবং নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছিল। আজকে নতুন করে অন্য কোনো কথা বলার আমার মনে হয় অবকাশ নেই।
‘আমি এমন কথা বলছি না যে নির্বাচন কমিশন গঠনে যে আইনের কথা সংবিধানে বলা হয়েছে তা করা হবে না, কিন্তু কোভিড পরিস্থিতি এবং সব কিছু মিলিয়ে ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে হতে হবে। তাই এখন এ আইন করাটা সম্ভব না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেটা বলেছেন সার্চ কমিটির মাধ্যমে করা হবে।’
রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরকারের পক্ষ থেকে সংলাপের কোনো সুযোগ আছে কি না এমন প্রশ্ন করা হলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমি এমন কোনো কথা শুনি নাই’।