মাদক দ্রব্য ব্যবহারের হট স্পট হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজধানী ঢাকা। প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ পিস শুধু ইয়াবাই ব্যবহার করছে মাদকসেবীরা। মিয়ানমার হয়েই বেশিরভাগ ইয়াবা আসছে রাজধানীতে। আইনশৃংখলা বাহিনীর অভিযানে কিছু ধরা পড়লেও বেশিরভাগই থেকে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে । চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত সময়ে শুধু রাজধানীতেই উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৩২ লাখ পিস ইয়াবা। এ ছাড়া অন্যান্য গাঁজা, ফেনসিডিলতো আছেই। এ সময়ে মাদকবিরোধী অভিযানে ১৪ হাজার লোককে গ্রেফতার করা হয়েছে আর প্রায় ১০ হাজার মামলা হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের তথ্য অনুযায়ী মাদকদ্রব্য ব্যবহারে এখন শীর্ষ স্থান দখল করেছে ইয়াবা। এর পরই আছে গাঁজা ও ফেনসিডিল। সম্প্রতি ক্রিস্টাল মেথ বা আইস নামক আরও একটি ভয়ঙ্কর মাদক সংযুক্ত হয়েছে মাদকসেবিদের কাছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপত্র ডিএমপি নিউজ এমন তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয় বিভিন্ন অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ মাদক মামলায় ৮ মাসে মোট ১৩,৯৪২ জনকে গ্রেফতার করেছে। আর এ সংক্রান্তে ডিএমপির বিভিন্ন থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ৯,৮২১টি মামলা রুজু হয়েছে। ডিএমপির মাদকবিরোধী অভিযানে অত্যন্ত ভয়াবহ মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিপূর্ণ একটি ব্যয়বহুল নতুন ধরণের মাদক আইস (ক্রিস্টাল মেথ বা ডি মেথ) ৭২৭ গ্রাম আইস উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও পাশ্চাত্য বিশ্বে hallucinogenic drug হিসেবে পরিচিত LSD (Lysergic acid diethylamide) ড্রাগ ২ গ্রাম ১২ মি.গ্রা. ও ৪০ পিস উদ্ধার করা হয়। যা খুব ছোট একটি কাগজের টুকরো সদৃশ মাদকমিশ্রিত বস্তু। মাদকসেবীরা উক্ত মাদকের ব্লন্ট জিহবার নিচে বা উপরে দিয়ে নেশা করে।
উদ্ধারকৃত অন্যান্য মাদকদ্রব্যের মধ্যে রয়েছে- ৩১,৬৭,৭২৩ পিস ইয়াবা, ৫৮৯৮ কেজি ৬৩ গ্রাম গাঁজা , ৬১ কেজি ৬৬০ গ্রাম হেরোইন, ১০ কেজি আফিম, ৪৪৪২৬ ক্যান বিয়ার, ৪০৫৫৪ বোতল ফেনসিডিল, ১৩৭৪৬ এ্যাম্পুল নেশাজাতীয় ইনজেকশন, ৩৭৪৬ বোতল ও ৫৯.৪০ লিটার বিদেশি মদ, ৬৭১৮ লিটার ২৫০ মি.লি দেশি মদ, ১০৫২১ লিটার চোলাই মদ, ৮১৭১ পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট, ৪ পাউন্ড সাপের বিষ, ৩৩০০ পিস সিন্ডা ট্যাবলেট, ২৫ কৌটা ড্যান্ডি, ২২ কেজি শিষা ও শিষার স্ট্যান্ড ১৮ টি, ২ গ্রাম এমফিটামিন, ১ গ্রাম ৩ মি.গ্রা. ডিএমডি, এমকেডিএল ২২৪ বোতল ও এস্কাফ ১২৯ বোতল।