বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশ যেতে চাইলে তাকে কারাগারে গিয়ে আবেদন করতে হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
রবিবার আইন কমিশনের রজত জয়ন্তী উপলক্ষে বিচার প্রশাসন ও প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটে আয়োজিত এক আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়ার সুযোগ আছে কি না- এমন প্রশ্নে আইনমন্ত্রী বলেন, তিনি (খালেদা জিয়া) যে আবেদন করেছেন তা ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারার একটি আবেদন হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে সরকার নির্বাহী আদেশে তার সাজা স্থগিত রেখে তাকে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দিয়েছিল। এ অবস্থায় একে পরিবর্তন করার আইন নেই। যদি এটা করতে হয়, তাহলে তাকে (খালেদা জিয়া) আবার জেলে গিয়ে এই (বর্তমান) আবেদন বাতিল করতে হবে। এরপর আবার নতুন আবেদন করতে হবে। এ আবেদনের মেয়াদ বাড়ানো ছাড়া আমাদের কিছু করার নেই।
তিনি জানান, খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ ৬ মাস বাড়ানোর পক্ষে আইন মন্ত্রণালয় থেকে ইতিমধ্যে মতামত দেয়া হয়েছে। এ সংক্রান্ত নথি এখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। এর আগে আইন কমিশনের চেয়ারম্যান প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ আরো বক্তব্য রাখেন বিচার প্রশাসন ও প্রশিক্ষণ ইনষ্টিটিউটের মহাপরিচালক সাবেক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব গোলাম সারওয়ার প্রমুখ।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ৫ বছরের কারাদণ্ড হওয়ার পর ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে ছিলেন খালেদা জিয়া। এ মামলায় হাইকোর্টে তার সাজা বেড়ে ১০ বছর কারাদণ্ড হয়। এরপর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিচারিক আদালতে সাত বছরের কারাদণ্ড হয় খালেদা জিয়ার। ২৫ মাস কারাভোগের পর গত বছরের ২৫ মার্চ সরকার খালেদা জিয়ার সাজা ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা অনুযায়ী স্থগিত করলে কারামুক্ত হন খালেদা জিয়া। দ্বিতীয় দফায় তার সাজা স্থগিতের মেয়াদ ছয় মাস বাড়ানো হয়। চলতি মাসে সাজা স্থগিতের মেয়াদ শেষ হতে চলেছে। সম্প্রতি খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষে সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করা হয়। এই আবেদনটির ওপর মতামত দিয়ে পাঠিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। এতে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরো ৬ মাস বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে।