রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানা এলাকায় আরব আলীকে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় জড়িত ৩ জনকে অস্ত্র ও ইয়াবাসহ গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো মোঃ সাহজামান ওরফে সাবু, মোঃ দুলাল প্যাদা ও মোঃ সাইফুল ইসলাম ওরফে সুজন।
বুধবার চাঁদপুর ও রাজধানীর পল্লবী থানা এলাকা হতে তাদেরকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা গুলশান বিভাগের ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিম। এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) এ কে এম হাফিজ আক্তার।
প্রেস ব্রিফিংএ জানানো হয়, ক্যান্টনমেন্ট থানার পশ্চিম মাটিকাটা এলাকায় বসবাসকারী পানি ও সুয়ারেজ লাইন ঠিকাদার আরব আলীকে হত্যার চেষ্টার ঘটনায় ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা রুজু হয়। এ ঘটনায় চাদঁপুর জেলার হাইমচর থানার মিয়া বাজার ও রাজধানীর পল্লবী এলাকায় ধারাবাহিক অভিযানে অস্ত্র ও মাদকসহ কন্ট্রাক্ট শুটার দলের সদস্য সাবু, দুলাল ও সুজনকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা গুলশান বিভাগ।
অভিযুক্তদের গ্রেফতার সংক্রান্তে তিনি বলেন, মামলাটি তদন্তকালে ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। গোয়েন্দা সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য উপাত্ত, সিসি ক্যামেরার ভিডিও চিত্র ও তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে ঘটনায় জড়িত অভিযুক্তদের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। ২৮ জুলাই,(বুধবার) চাঁদপুর হাইমচর এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাবুকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেয়া তথ্য মতে পল্লবী থানার কালশী বাউনিয়াবাধস্থ তার বাসা হতে ৬ চেম্বার বিশিষ্ট ১টি রিভলবার ও ১০০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। কালশী এলাকা হতে ঘটনায় জড়িত দুলাল ও সুজনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের সময় তাদের হেফাজত হতে ১টি পিস্তল ও ২০০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। এ সকল সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা বিদেশে পালিয়ে থাকা সন্ত্রাসী ইব্রাহীম এবং যুবরাজের তত্ত্বাবধানে থেকে ঢাকা মহানগরীর ভাষানটেক, ক্যান্টনমেন্ট ও পল্লবী থানা এলাকার বিভিন্ন জায়গায় মাটি ভরাট, বিতর্কিত জায়গায় জমির দখল-বেদখল এবং গ্যাস, পানি ও সুয়ারেজ লাইন তৈরির কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান থেকে চাঁদাবাজি করতো। এছাড়াও তারা অত্র এলাকায় সশস্ত্র মহড়া দিয়ে জনগণকে ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে অর্থ আদায়, ইয়াবা ব্যবসা পরিচালনা করতো।
তিনি আরো বলেন, এ সকল সন্ত্রাসীরা ঘটনা ঘটানোর পর চাঁদার টাকা, ইয়াবা বিক্রির টাকা নিয়ে পদ্মা-মেঘনার দুর্গম চর এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করতো।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সম্প্রতি ঢাকার হাজারীবাগ ও পল্লবী এলাকায় সংঘটিত ঘটনায় সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। ঢাকা মহানগরীতে জমি দখল-বেদখল ও কন্ট্রাক্ট শুটারসহ চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত আছে।
চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসায়ী ও কন্ট্রাক্ট শুটিংয়ের সাথে সম্পৃক্ত সন্ত্রাসীদের বিষয়ে পুলিশকে তথ্য প্রদানের জন্যে নগরবাসীর প্রতি অনুরোধ করেন পুলিশের এ গোয়েন্দা কর্মকর্তা।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে পল্লবী থানায় মাদকদ্রব্য ও অস্ত্র আইনে পৃথক ৩ টি মামলা রুজু হয়েছে।