আফগানিস্তানের কান্দাহারের স্পিন বোলদাকে তালেবানরা শতাধিক মানুষকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করা হয়েছে আফগান প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
এই প্রসঙ্গে আফগানিস্তানের অন্তর্দেশীয় দপ্তরের মুখপাত্র মিরওয়াইস স্নেনেকজা বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদীরা স্পিন বোলদাকের নির্দিষ্ট কয়েকটি অঞ্চলের নিরীহ আফগানদের বাড়িঘর আক্রমণ করে এবং বাড়িঘর লুট করে ১০০ জন নিরীহ মানুষকে খুন করে। এদের আসল চেহারা উন্মোচন হল।’ জানা যায়, কান্দাহার প্রদেশ কাউন্সিলের এক সদস্যের দুই ছেলেকেও খুন করা হয়েছে। যদিও এই ঘটনার দায় অস্বীকার করেছে তালেবানরা। প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে আফগানিস্তানের কান্দাহার শহরে দখল নেয় তালেবানরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, ওই শহরে লুটপাট চালাচ্ছে তালেবান জঙ্গিরা। ঘরবাড়ি ধ্বংস করা হয়েছে। এমনকী সরকারি দপ্তরগুলোও হামলা চালিয়ে ভেঙে ফেলা হচ্ছে। আফগানিস্তানের নিরাপত্তা এজেন্সির তরফে জানানো হয়েছে, এখনও অনেক দেহ মাটিতে পড়ে রয়েছে।
এদিকে, সম্প্রতি আফগানিস্তান থেকে বেশিরভাগ সেনা সরিয়ে নিয়েছে আমেরিকা। তবে তাতেও যে সহজে তালেবানদের রেহাই দেবে না তার স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলল সেনার এক মুখপাত্রের কথায়। তালেবানের বিরুদ্ধে আফগান বাহিনীকে সাহায্য করতে ইতিমধ্যেই বিমানহানা শুরু করেছে আমেরিকা। গত কয়েক দিন ধরেই আফগানিস্তানের বিভিন্ন জায়গায় বিমান হামলা চালিয়েছে আমেরিকা। তবে কোথায় কোথায় এবং কী রণকৌশলে এই হামলা চালানো হয়েছে তা নিয়ে স্পষ্ট কোনও উত্তর দেয়নি পেন্টাগন। পেন্টাগনের প্রেস সেক্রেটারি জন কিরবি বলেন, “পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য দিতে চাই না। তবে এটা বলতে পারি যে গত কয়েক দিনে আফগানিস্তানের বেশ কয়েকটি জায়গায় বিমানহানা চালানো হয়েছে। আফগান বাহিনীকে সহযোগিতা করার জন্য এই হামলা জারি রাখা হবে।” আফগানিস্তান থেকে আমেরিকা সেনা তুলে নিতেই গোটা দেশ জুড়ে ফের তাণ্ডব চালাতে শুরু করেছে তালেবান জঙ্গিরা। আফগানিস্তানের ৮৫ শতাংশই তালেবানের দখলে চলে গিয়েছে। দেশের ৪০০টি জেলাকে ইতিমধ্যেই কব্জা করে ফেলেছে জঙ্গিরা। আমেরিকা সেনা তুলে নেওয়ায় কঠোর চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে আফগান বাহিনীকে। তালেবানের হাত থেকে এলাকা উদ্ধারের চেষ্টায় লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে তারা।