যুক্তরাজ্য থেকে প্রকাশিত মানবাধিকার ও গণতন্ত্র রিপোর্টটি গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। সোমবার নিজ দপ্তরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘তাদের উচিত এই ধরনের চর্চা বন্ধ করা।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাজ্যের ওই রিপোর্ট তথ্যনির্ভর নয়। নিজের দেশের অবস্থা ভালো করতে পারে না কিন্তু অন্যদের উপদেশ দেয়। গঠনমূলক তথ্য দিলে সেটি কাজে আসবে। কিন্তু বানোয়াট তথ্য দিলে সেটি কোনো উদ্দেশ্যমূলকভাবে দেওয়া হয়েছে বলে সবাই মনে করবে। তারা উপদেশ দিতে আসে কিন্তু এটি গ্রহণযোগ্য নয়।’
এর আগে গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। সেখানে বাংলাদেশের বিষয়ে তাদের পর্যবেক্ষণ প্রকাশ করা হয়। পরে গত রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যুক্তরাজ্যের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে ডেকে এনে প্রতিবাদ জানানো হয়। যুক্তরাজ্যের প্রকাশিত ওই রিপোর্টে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ‘হাউজ অ্যারেস্ট’ করে রাখা হয়েছে বলে যা উল্লেখ করা হয় সেটা প্রত্যাখ্যান করা হয়। এ ব্যাপারে রাষ্ট্রদূতকে জানানো হয়েছে যে, এটি চরম বিভ্রান্তিকর। এ বিষয়ে রাষ্ট্রদূতকে অবগত করা হয়, খালেদা জিয়ার ভাই একটি আবেদন করেন এবং সরকার আইন অনুযায়ী, শাস্তি স্থগিত করে ২০২০’র মার্চে তাকে মুক্তি দেয় এই শর্তে যে, তিনি দেশে চিকিৎসা গ্রহণ করবেন এবং বিদেশ সফর করবেন না। প্রথম অবস্থায় তাকে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেওয়া হয়, যা পরবর্তীতে দুইবার বাড়ানো হয়েছে।
এ ধরনের আইনি বিষয়ে কোনো বিভ্রান্তি থাকলে সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার কাছ থেকে বিষয়টি পরিষ্কার করে নেওয়ার জন্য রাষ্ট্রদূতকে পরামর্শ দেওয়া হয়।
যুক্তরাজ্যের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতের বরাতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেন, ‘তিনি স্বীকার করেছেন তাদের রিপোর্ট আরও তথ্যনির্ভর হওয়া উচিত ছিল। তিনি আমাদের উদ্বেগ তার সদর দপ্তরে জানাবেন বলে জানিয়েছেন।’
সাংবাদিকদের বিদেশে বিভিন্ন অনিয়ম প্রসঙ্গে লেখার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘তাদের টাকা-পয়সা আছে, একটি এনজিওকে কাজে লাগিয়ে দেয়।’ কোনো দেশ ফেরেশতা নয় কিন্তু কাউকে খামোখা দোষারোপ করা নিম্ন মন-মানসিকতার পরিচয় উল্লেখ করেন আব্দুল মোমেন।