ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সম্প্রতি মন্ত্রিসভায় বড় রদবদল এনেছেন। গত ৭ জুলাই রাষ্ট্রপতি ভবনে শপথ নেন ভারতের নতুন ৪৩ জন মন্ত্রী। নতুন ৪৩ জনসহ মোদির মন্ত্রিসভায় এখন মোট সদস্য ৭৮। মন্ত্রিসভার ৭৮ জনের মধ্যে ৪২ শতাংশের বিরুদ্ধেই রয়েছে ফৌজদারি মামলা।
শনিবার মোদির মন্ত্রীদের নিয়ে এমন একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতের অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস (এডিআর)। খবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ও হিন্দুস্তান টাইমসের
এডিআর এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মোদির মন্ত্রিসভার ৯০ শতাংশ মন্ত্রী কোটিপতি। আর ৪২ শতাংশ সদস্যের বিরুদ্ধে রয়েছে ফৌজদারি মামলা। যার মধ্যে বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে রয়েছে গুরুতর অভিযোগ।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, নতুন মন্ত্রিসভার ৭৮ সদস্যের মধ্যে ফৌজদারি মামলা রয়েছে মোট ৩৩ জনের বিরুদ্ধে। এদের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের জন বার্লা, নিশীথ প্রামাণিক-সহ চারজনের বিরুদ্ধে রয়েছে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বার্লার বিরুদ্ধে গুরুতর ৯টি মামলা রয়েছে। এছাড়া ৩৮টি অন্য মামলাও রয়েছে। কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা রয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার পাঁচ মন্ত্রীর বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িকতা উস্কে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। নির্বাচনের সময় অবৈধভাবে আর্থিক সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে সাত মন্ত্রীর বিরুদ্ধে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, মন্ত্রিসভার ৯০ শতাংশ অর্থাৎ ৭০ জনই কোটিপতি। মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, পীযূষ গোয়েল, নারায়ণ তাতুরেন ও রাজীব চন্দ্রশেখরের ৫০ কোটি টাকারও বেশি সম্পদ রয়েছে।