বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলার জন্য হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে। হাইকোর্টের একজন বিচারপতিকে জানানোর পর এটর্নি জেনারেলের মাধ্যমে বিষয়টি স্বাস্থ্য সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে জানানো হয়। এর পর তারা কথা দেন রোববারের মধ্যে বগুড়ার এই হাসপাতালের হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলার সংকট সমাধান হবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন হাইকোর্টের বিচারপতি যদি বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ না করতেন তা হলে এ সমস্যার সমাধান হতো না। সেক্ষেত্রে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব কী এ নিয়ে প্রশ্ন ওঠেছে। এ ছাড়া যেসব জায়গায় হাইকোর্টে বিচারপতিরা হস্তক্ষেপ করবেন না এখানে এসব সমস্যার সমাধান হবে কী ভাবে ? স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কিংবা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কোনো দায়িত্ব নেবে না?
সরকারি বার্তা সংস্থা বাসস পরিবেশিত খবরে জানান গেছে, বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা সংকটে ৭ করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। আরো ১০ জন রোগীর অবস্থা মুমূর্ষ, এমন সংবাদ গণমাধ্যমে দেখে শনিবার মধ্যরাতেই সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের মাধ্যমে বিচারপতি এম, ইনায়েতুর রহিমকে অবহিত করেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরশেদ। এর পর বিষয়টি এটর্নি জেনারেলকে দেখতে বলেন আদালত। মনজিল মোরশেদ বলেন, রাতেই এটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন স্বাস্থ্য সচিব ও স্বাস্থ্য মহাপরিচালকের সঙ্গে কথা বলেন। কাল রোববারের মধ্যে বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা সংকটের সামাধান হবে।
শুক্রবার গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, বগুড়ায় পর্যাপ্ত অক্সিজেন না পেয়ে ৭ জন মারা গেছে। আরো ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল দুপুর ১২টা পর্যন্ত গেল ১৬ ঘণ্টায় চাহিদা অনুযায়ী উচ্চ মাত্রার অক্সিজেন না পাওয়ায় ৭ করোনা রোগীর মৃত্যু হয়। এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে উচ্চ আদালতের নজরে আনেন এডভোকেট মনজিল মোরশেদ।
উল্লেখ্য, ১ জুলাই থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত চলমান লকডাইনে উচ্চ আদালতে অতীব জরুরি বিষয় শারিরীক উপস্থিতি ব্যাতিরেকে ভার্চুয়ালি শুনানি ও নিস্পত্তির জন্য বিচারপতি এম, ইনায়েতুর রহিমের বেঞ্চসহ তিনটি বেঞ্চকে সুনির্দিষ্ট বিচারিক এখতিয়ার দেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা নিজ নিজ বাসা থেকে ভার্চূয়ালী শুনানিতে সংযুক্ত হবেন বলে প্রধান বিচারপতির নির্দেশক্রমে জারি করা এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়। যা সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে চলমান লকডাউনে সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের না আসতে অনুরোধ জানান হয়।