সালিশে গিয়ে এক কিশোরীকে বিয়ে করলেও তা টেকাতে পারেননি ইউপি চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদার; এখন চেয়ারম্যান পদও খোয়ালেন তিনি
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদারকে বরখাস্ত করে সোমবার আদেশ হয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে।
শহীন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগেরও সাধারণ সম্পাদক।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. হায়দার আলী জানিয়েছেন, ‘ক্ষমতার অপব্যবহার’র কারণে এ চেয়ারম্যানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শাহীন হাওলাদার সালিশ করতে গিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোরীকে বিয়ে করে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ এর ৩৪ (৪) (ঘ) ধারার অপরাধ সংঘটিত করেছেন।
সাময়িক বরখাস্তের কথা জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “কেন তাকে চূড়ান্তভাবে অপসারণ করা হবে না, তা পত্র প্রাপ্তির ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তার জবাব সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগে প্রেরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
ওই কিশোরী গত বৃহস্পতিবার প্রেমের টানে এক কিশোরের সঙ্গে বাড়ি ছাড়লে তার বাবার নালিশ পেয়ে চেয়ারম্যান শাহীন শুক্রবার সালিশ ডাকেন বলে স্থানীয়রা জানায়।
সেই সালিশে বসার পর মেয়েটিকে পছন্দ হয়ে যায় ৬০ বছর বয়সী চেয়ারম্যানের। তখন তিনি ওই কিশোরীকে পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে করেন।
এই ঘটনা তুমুল আলোচনা সৃষ্টি করায় পরদিন চেয়ারম্যানকে তালাক দিয়ে ওই কিশোরী বাড়িতে ফিরে যান। তালাকের ব্যবস্থা নিজেই করেছিলেন বলে শাহীন দাবি করেন।
এদিকে গণমাধ্যমে ঘটনা দেখে হাই কোর্ট এক আদেশে চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদার ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে কিনা, তা তদন্ত করতে রোববার জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেয়।
একই সঙ্গে ওই কিশোরীকে বিয়ে করার ক্ষেত্রে ‘বাল্য বিবাহ’ ঘটেছে কি না, তা তদন্ত করতে জেলা নিবন্ধককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।