বিশ্বের অন্যতম ধনী দম্পতি বিল গেটস ও মেলিন্ডার বিয়ে বিচ্ছেদের আলোচনা যেনো এখনো শেষই হচ্ছে না। যারা জানতেন এই বিলিয়নার সুখি দম্পতি, বিচ্ছেদের পর কেউই যেনো তা বিশ্বাস করতে পারছেন না। তথ্যপ্রযুক্তির আইকন বিল-মেলিন্ডা দম্পতি ১৪ হাজার ৬শ কোটি ডলারের মালিক। এতো অর্থকরি,ক্ষমতা কোনোকিছুই টেকাতে পারলো না তাদের সংসারের বন্ধন। ২৭ বছরের সংসার জীবনে ইতি টানতে হলো। কেনো? কি রহস্য আছে বিল-মেলিন্ডার সংসারের ভাঙ্গনের? এ নিয়ে বিশ্বমিডিয়ায় চলছে নানা আলোচনা সমালোচনা।
সম্প্রতি বিবাহ বিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করেছেন বিল গেটস এবং মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটস। তবে মার্কিন দৈনিক ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল দাবি করেছে, ২০১৯ সাল থেকেই সম্পর্কে ভাঙন ধরা শুরু করেছিল। কারণ ওই বছর অক্টোবরে মেলিন্ডাকে আইনজীবীর সঙ্গে বৈঠক করতে দেখা গিয়েছে। আসলে যৌন নির্যাতনে অভিযুক্ত জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে বিলের যোগাযোগকে কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি মেলিন্ডা।
মার্কিন সংবাদপত্র ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল দাবি করেছে, জেফরি এপস্টেইনের বিরুদ্ধে শিশু, কিশোর পাচারের অভিযোগ রয়েছে। এই শিশু কিশোরদের নাকি যৌন দাস হিসাবে ব্যবহার করা হত। এমনকী তাঁর বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগও রয়েছে। একাধিক অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়ার পর বিচারাধীন অবস্থায় ২০১৯ সালের আগস্টে জেলেই তাঁর মৃত্যু হয়। তিনি আত্মহত্যা করেন বলে জানা গিয়ে
কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে তাঁর সঙ্গে বিল গেটসের যোগযোগ ছিল বলে অভিযোগ। এমনকী বিল গেটস, জেফরির ম্যানহাটন, নিউ ইয়র্কের বাড়িতে একাধিকবার দেখা করেছেন। সময় কাটিয়েছেন বলে অভিযোগ। যদিও বিল গেটসের মুখপাত্র জানিয়েছেন, জেফরির সঙ্গে বিলের যোগাযোগ কেবল আর্থিক কারণেই ছিল। তবে মেলিন্ডা নাকি ২০১৩ সাল থেকেই বিল এবং জেফরির যোগাযোগের বিষয়টি জানতেন। এনিয়ে মেলিন্ডা মোটেই স্বস্তি বোধ করতেন না, বরং উদ্বেগে ছিলেন। শেষে বিষয়টি প্রকাশ্যে এসে যায়। এরপর মেলিন্ডা বিচ্ছেদের কথা ভাবতে শুরু করেন। আইনজীবীদের সঙ্গেও পরামর্শ করছিলেন বিষয়টি নিয়ে।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল তার সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে আরও দাবি করেছে, ২০১৯ সালের অক্টোবর থেকেই গেটস দম্পতির মধ্যে বিচ্ছেদ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। অবশেষে ২৭ বছরের সম্পর্ক ভেঙে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন ৩ মে। করোনা অতিমারীর সময়ে তাঁদের মধ্যে বিচ্ছেদের সমঝোতা নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানা গিয়েছে। তবে এখন প্রশ্ন, তাঁদের বিপুল সম্পত্তির ভাগাভাগি কীভাবে হবে। সময় হয়তো সেই উত্তর দেবে। সহায়তায় ,সংবাদ প্রতিদিন,কলকাতা।