হেফাজতে ইসলামের সাবেক আমীর আহমদ শফীকে হত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে হেফাজতের আমীর বাবুনগরীসহ ৪০ জনকে অভিযুক্ত করে প্রতিবেদন দিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
সোমবার (১২ এপ্রিল) এ বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দিয়েছে পিবিআই।
পিবিআইয়ের তদন্তে আহমদ শফী হত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে হেফাজতে ইসলামের আমীর বাবুনগরী, যুগ্ম আহ্বায়ক মামুনুল হকসহ ৪০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এর আগে, গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর শাহ আহমদ শফী মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুর তিন মাস পর গত ১৭ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ আদালতে তাকে মানসিক নির্যাতন করে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করার অভিযোগ এনে মামলা করেন আল্লামা আহমদ শফীর শ্যালক মাইনুদ্দিন।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের দায়িত্ব দেন। পাশাপাশি এক মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।
মামলায় হেফাজতে ইসলামের সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনুল হকসহ ৩৬ জনকে নাম উল্লেখপূর্বক আসামি করা হয়। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৮০-৯০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামুনুল হক ছাড়াও মামলায় অন্য অভিযুক্তরা হলেন নাছির উদ্দিন মুনির, আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মীর ইদ্রিস, হাবিব উল্লাহ, আহসান উল্লাহ, জাকারিয়া নোমান ফয়েজী, নুরুজ্জামান নোমানী, আব্দুল মতিন, মো. শহীদুল্লাহ, মো. রিজওয়ান আরমান, মো. নজরুল ইসলাম, হাসানুজ্জামান, এনামুল হাসান ফারুকী, মীর সাজেদ, জাফর আহমদ, মীর জিয়াউদ্দিন, আহমদ, মাহমুদ, আসাদউল্লাহ, জোবায়ের মাহমুদ, এইচ এম জুনায়েদ, আনোয়ার শাহ, আহমদ কামাল, নাছির উদ্দিন, কামরুল ইসলাম কাসেমী, মোহাম্মদ হাসান, ওবায়দুল্লাহ ওবাইদ, জুবায়ের, মোহাম্মদ, আমিনুল হক, রফিক সোহেল, মোবিনুল হক, নাঈম, হাফেজ সায়েম উল্লাহ ও হাসান জামিল।
উল্লেখ্য, এ বিষয়ে তদন্ত করতে গত ১২ জানুয়ারি সকালে হাটহাজারী মাদ্রাসা ও ফটিকছড়ি বাবুনগর মাদ্রাসা পরিদর্শন করে পিবিআই টিম। পিবিআই চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তদন্তের দিন তিনি বলেন, তদন্তের অংশ হিসেবে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে আমরা হাটহাজারী মাদ্রাসা, ফটিকছড়ি বাবুনগর মাদ্রাসা পরিদর্শন করেছি। পরিদর্শনকালে সেখানে সংশ্লিষ্ট যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। আরও যারা সংশ্লিষ্ট আছেন তাদের সঙ্গে আমরা পর্যায়ক্রমে কথা বলবো।