ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের বিরুদ্ধে সিটি করপোরেশন পরিচালনায় ব্যর্থতার অভিযোগ তুলেছেন সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন।
তিনি বলেন, “মেয়র তাপস সিটি কর্পোরেশন আইন ২০০৯, ২য় ভাগের ২য় অধ্যায়ের অনুচ্ছেদ ৯ (২) (জ) অনুযায়ী (স্বার্থের দ্বন্দ্ব) মেয়র পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন।”
শনিবার ফুলবাড়িয়া মার্কেটে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ‘অবৈধ’ দোকান উচ্ছেদের বিরোধিতা করে উচ্ছেদ হওয়া ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন এ অভিযোগ করেন ।
সুপ্রিম কোর্টের সামনে কদম ফোয়ারা এলাকায় অনুষ্ঠিত এই মানববন্ধন কর্মসূচিতে তিনি ঢাকা দক্ষিণের বর্তমান মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের সমালোচনা করে বক্তব্য রাখেন।
উচ্ছেদ অভিযানে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও তাদের পরিবারের উদ্যোগে ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের দাবিতে এই মানববন্ধন হয়।
নকশাবহির্ভূত দোকান উচ্ছেদে গত ডিসেম্বর মাসে ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট-২ এ অভিযান চালায় ডিএসসিসি।
গত কয়েক বছরে সেখানে নকশাবহির্ভূতভাবে ৯১১টি দোকান তৈরি করা হয়েছিল বলে ডিএসসিসির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে। তখন মেয়র ছিলেন সাঈদ খোকন ।
উচ্ছেদ অভিযানের পর সাঈদ খোকনসহ সাতজনের বিরুদ্ধে প্রায় ৩৫ কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে মামলাও হয়েছে।
মানববন্ধনে যোগ দিয়ে সাঈদ খোকন বলেন, ফুলবাড়িয়া মার্কেটে ‘বৈধ’ দোকান ‘অবৈধভাবে’ উচ্ছেদ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “ফুলবাড়িয়া মার্কেটে সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক যে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে, আমি আগেও বলেছি এটা সম্পূর্ণভাবে অবৈধ।
“কারণ, মহামান্য আদালত কর্তৃক নির্দেশিত হয়ে ব্যবসায়ীদের বৈধ করণের আবেদন নিষ্পত্তির লক্ষ্যে আমরা কর্পোরেশনের বোর্ড সভায় সর্বসম্মতিক্রমে আলোচিত মার্কেটগুলোর নকশা সংশোধন, বকেয়া ভাড়া আদায় সাপেক্ষে বৈধ ব্যবসা পরিচালনার অনুমতি প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি।
“বোর্ডসভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক সিটি কর্পোরেশনের প্রকৌশল বিভাগ নকশা সংশোধন করে এবং রাজস্ব বিভাগ ৭/৮ বছরের বকেয়া ভাড়া আদায় করে ব্যবসায়ীদের বৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনা করার অনুমতি প্রদান করে।”
উচ্ছেদের নিন্দা জানিয়ে সাঈদ খোকন বলেন, “আমরা আশ্চর্যের সাথে লক্ষ্য করলাম, বিনা নোটিসে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন অবৈধ উচ্ছেদের মাধ্যমে বুলডোজার দিয়ে এ সমস্ত হাজার হাজার বৈধ দোকান গুঁড়িয়ে দিল এবং ফলশ্রুতিতে হাজার হাজার দোকান মালিক ও কর্মচারী সপরিবারে পথে বসে গেল।”
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য খোকন।