ইউরোপের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উচ্চতর পড়াশুনার জন্য ভর্তি হওয়া বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা তাদের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারছেন না, কারণ এস্তোনিয়া, বেলজিয়াম এবং লাটভিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশ ঢাকায় ভিসা কনস্যুলার পরিষেবা দেয় না।
এসব শিক্ষার্থীদের ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া শেষ করার জন্য তাদের নয়াদিল্লী যেতে হবে, যা তারা করতে পারছেন না বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে এয়ার বাবল চুক্তি সম্পন্ন না হওয়ায়।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা আগস্টের শেষের দিকে তার বাংলাদেশ সফরের সময় শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী এবং চিকিৎসাসেবা প্রার্থীদের ভারতে যাবার অনুমতি দিতে দুই প্রতিবেশীর মধ্যে একটি এয়ার বাবল স্থাপনের প্রস্তাব করেছিলেন। বাংলাদেশ সরকার প্রথমদিকে এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানালেও ভারতের সাথে এয়ার বাবল প্রতিষ্ঠার বিষয়টি এখনও নিশ্চিত করতে পারেনি।
২৯শে সেপ্টেম্বর পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সভাপতিত্বে দু’দেশের মধ্যে ৬ষ্ঠ যৌথ পরামর্শক কমিটির (জেসিসি) বৈঠক ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই বৈঠকে দুই প্রতিবেশী ভারতে বাংলাদেশী পণ্যের জন্য শুল্কবিহীন বাধা, তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তির দ্রুত সমাধানের পাশাপাশি, রোহিঙ্গা সঙ্কটের দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের সন্ধানসহ বেশ কয়েকটি অমীমাংসিত বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছে।
তবে, দু’দেশের মধ্যে এয়ার বাবল প্রতিষ্ঠার বিষয়ে সামান্য অগ্রগতি হয়েছিল। যদিও উভয় দেশের মধ্যে পণ্য পরিবহণ ও স্থল যোগাযোগের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। কিন্তু উচশিক্ষা, চিকিৎসা বা ব্যবসায়িক কারণে যারা ভারত ও বাংলাদেশে যাতায়াত করতে চান তারা এখনও সেটি করতে পারছেন না।
আরও লক্ষ্য করা গেছে যে ভারতীয় হাই কমিশনারের টুইটার পাতায় বিদেশে পড়াশোনা করার ভিসা আবেদন করতে ভারতে ভ্রমণের ভিসার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন অনেক বাংলাদেশী শিক্ষার্থী।
উল্লেখ্য যে, ভারত ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, মালদ্বীপ, কানাডা এবং জার্মানি সহ ১৫ টিরও বেশি দেশের সাথে এয়ার বাবল কার্যকর করেছে। এমনকি জাপান, যারা আন্তর্জাতিকভাবে এই জাতীয় দ্বিপাক্ষিক ব্যবস্থা করার ক্ষেত্রে বিশেষভাবে রক্ষণশীল হিসেবে পরিচিত, তারাও ভারতের সাথে একটি এয়ার বাবল কার্যকর করেছে। এমন নয় যে, এই দেশগুলি যা এই জাতীয় ব্যবস্থা দ্বারা কোভিড-১৯ সংক্রমণের সম্ভাবনা সম্পর্কে চিন্তা করে না। কিন্তু কেবলমাত্র উড্ডয়নের আগে এবং অবতরণের পরে কঠোর পরীক্ষার কারণেই অনেক দেশ এই জাতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিমান ভ্রমণ ব্যবস্থাগুলো উভয় দেশের জন্যই উপকারী। নাগরিকরা, বিশেষত শিক্ষার্থীরা যারা ভারতে পড়াশোনা এবং যারা চিকিৎসা নিতে যান তাদের বিমানের মাধ্যমে ভ্রমণ করার বিকল্প থাকা উচিত।