ঢাকা   শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০   বিকাল ৩:০৬ 

সর্বশেষ সংবাদ

হাইকোর্টে ১১ টি ভার্চুয়াল বেঞ্চে বিচার পরিচালনা হবে

আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত ভার্চুয়াল কোর্টের মেয়াদ বাড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। একই সঙ্গে হাইকোর্টে বাড়ানো হয়েছে ভার্চুয়াল বেঞ্চের সংখ্যা।
সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতিদের সঙ্গে পরামর্শক্রমে শনিবার এ সিদ্ধান্ত নেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এখন থেকে হাইকোর্টের ১১ টি একক ভার্চুয়াল বেঞ্চে বিচার কাজ চলবে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে। যা আগে ছিল ৪ টি।

জেনে নিন হাইকোর্টের ১১টি বেঞ্চের নামঃ
হাইকোর্ট বিভাগের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (প্রশাসন ও বিচার) মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংশ্লিষ্ট সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে দেশব্যাপী করোনাভাইসারের সংক্রমণ রোধে এবং শারীরিক উপস্থিতি ছাড়া ৩১ মে (রোববার) হতে ১৫ জুন (সোমবার) পর্যন্ত আদালত কর্তৃক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ, ২০২০ এবং এই কোর্ট কর্তৃক জারি করা প্র্যাকটিস ডাইরেকশন (ব্যবহারিক নির্দেশনা) অনুসরণ করে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে শুধু ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকার্য পরিচালনার জন্য প্রধান বিচারপতি নিম্নরূপ বেঞ্চসমূহ গঠন করেছেন।
এর মধ্যে বিচারপতি বোরহান উদ্দিন অতি জরুরি ভ্যাট, কাস্টমস ও ইনকাম ট্যাক্স–সংক্রান্ত রিট মোশন ও তৎসংক্রান্ত আবেদন গ্রহণ করবেন। বিচারপতি ওবায়দুল হাসান অতি জরুরি সব ধরনের ফৌজদারি মোশন ও তৎসংক্রান্ত জামিনের আবেদনপত্র গ্রহণ করবেন। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ভ্যাট, কাস্টমস, ইনকাম ট্যাক্স অর্থঋণ আদালত, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান ব্যতীত সব প্রকার জরুরি রিট মোশন ও তৎসংক্রান্ত আবেদনপত্র গ্রহণ করবেন। দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের বিষয়াদি ব্যতীত অতি জরুরি সব প্রকার ফৌজদারি মোশন ও তৎসংক্রান্ত জামিন আবেদন গ্রহণ করবেন বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন এবং বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেনের পৃথক বেঞ্চ। ভ্যাট, কাস্টমস ও ইনকাম ট্যাক্স ব্যতীত অতি জরুরি সব প্রকার রিট মোশন এবং তৎসংক্রান্ত আবেদনপত্র গ্রহণ করবেন বিচারপতি জে বি এম হাসান। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার অতি জরুরি দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, মানি লন্ডারিং আইন এবং দুদক আইন–সংক্রান্ত সব প্রকার ফৌজদারি ও রিট মোশন এবং তৎসংক্রান্ত জামিনের আবেদনপত্র গ্রহণ করবেন। বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের আওতাধীন বিষয়াদি ব্যতীত অতি জরুরি সব প্রকার ফৌজদারি মোশন ও তৎসংক্রান্ত জামিনের আবেদনপত্র গ্রহণ করবেন। অতি জরুরি সকল প্রকার দেওয়ানি মোশন এবং তৎসংক্রান্ত আবেদনপত্র গ্রহণ করবেন বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া।

বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার আদিম অধিক্ষেত্রাধীন অতি জরুরি বিষয়, সাকশেসন আইন, বিবাহবিচ্ছেদ আইন অনুযায়ী মোকদ্দমা, প্রাইজ কোর্ট বিষয়সহ অ্যাডমিরালিটি কোর্ট আইন, ব্যাংক কোম্পানি আইন ও সালিস আইনসহ কয়েকটি আইনের অধীনে আবেদনপত্র গ্রহণ ও আপিল শুনানি গ্রহণ করবেন। বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান অতি জরুরি অর্থঋণ আইন–সংক্রান্ত রিট, দেউলিয়া বিষয়াদি, ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং অর্থঋণ আইন হতে উদ্ভূত রিট মোশন এবং তৎসংক্রান্ত আবেদনপত্র গ্রহণ করবেন। হাইকোর্টের এই ১১টি বেঞ্চে আবেদন করার জন্য পৃথক ই–মেইল ঠিকানাও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য ‘আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ, ২০২০’ শিরোনামে ৯ মে অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। এতে অডিও-ভিডিও বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে শারীরিক উপস্থিতি ছাড়া ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে বিচারকাজ পরিচালনার সুযোগ তৈরি হয়। অধ্যাদেশ জারির পর আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের ক্ষেত্রে ভার্চ্যুয়াল কোর্টের জন্য পৃথক প্র্যাকটিস ডাইরেকশন, আইনজীবীদের জন্য আমার আদালত (ভার্চ্যুয়াল কোর্টরুম ব্যবহার) ম্যানুয়াল, অধস্তন আদালত এবং ট্রাইব্যুনালে শুধু জামিনসংক্রান্ত বিষয়াদি ভার্চ্যুয়াল শুনানির মাধ্যমে নিষ্পত্তি করতে বিশেষ প্র্যাকটিস নির্দেশনা সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। প্র্যাকটিস ডাইরেকশনসহ ম্যানুয়ালে ব্যবহারিক দিকনির্দেশনা রয়েছে।
এ দিকে নিম্ন আদালতেও ১৫ জুন পর্যন্ত ভার্চুয়াল কোর্টের মাধ্যমে বিচারকাজ পরিচালনা করা হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সবচেয়ে আলোচিত