দুর্নীতি ও প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফ্তার রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় চার্জগঠন করেছেন আদালত। রোববার ঢাকার ১০ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে আসামির অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে আগামী ২০ মে মামলাটিতে সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য করেন।
দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর জানান, বিচারক অভিযোগ পড়াকালে সাহেদ কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন এবং ন্যায়বিচার চান। এ সময় তার পক্ষে করা অব্যাহতি ও জামিন আবেদন শুনানি নিয়ে নাকচ করেন বিচারক।
অভিযোগ গঠনের পক্ষে বক্তব্য রেখে জামিন আবেদন নাকচের প্রার্থনায় আইনজীবী জাহাঙ্গীর শুনানিতে বলেন, ‘সাহেদ একজন হ্যাবিচুয়াল অফেন্ডার। তার আবেদন নাকচ করা হোক।’
শুনানির সময় সাহেদের আইনজীবীরা কারাগার থেকে প্রিজনভ্যানের পরিবর্তে বিশেষ গাড়িতে করে আলাদাভাবে তাকে আদালতে আনার আবেদন করলে তা নাকচ করেন বিচারক।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত বছরের ১ মার্চ দুদকের উপপরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী বাদী হয়ে অবৈধভাবে ১ কোটি ৬৯ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে কমিশনের সমন্বিত ঢাকা জেলা কার্যালয়-১-এ মামলাটি দায়ের করেন। তদন্ত শেষে চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি দুদক আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। করোনার চিকিৎসার নামে প্রতারণাসহ নানা অভিযোগে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে সাহেদের বিরুদ্ধে।