১৮৭২ সালের সাক্ষ্য আইনের ১৫৫ (৪) ও ১৪৬ (৩) ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। রোববার বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্ল্যাস্ট), আইন ও সালিস কেন্দ্র (আসক) ও নারীপক্ষ যৌথভাবে এই আবেদনটি করেছে।
ধারা দুটিকে কেন বাতিল ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না এবং সংবিধানের ২৭, ২৮, ৩১ ও ৩২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সমতার ক্ষেত্রে মৌলিক অধিকার পরিপন্থি ঘোষণা করা হবে না সেই প্রশ্নে রুল চাওয়া হয়েছে। আবেদনে আইন সচিবকে বিবাদি করা হয়েছে।
বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চে রিটটির ওপর শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবী শারমিন আকতার।
এদিকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানিয়েছে, রিট আবেদনটি সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে রোববার উপস্থাপন করা হয়েছে। ‘কাল বা এই সপ্তাহের যে কোনো’ দিন শুনানি হতে পারে।
এর মধ্যে সাক্ষ্য আইনের ধারা ১৫৫(৪) বাতিলের প্রস্তাব আগামী জানুয়ারিতে জাতীয় সংসদে তোলা হতে পারে শনিবার একটি গণমাধ্যমকে বলেছেন আইনমন্ত্রী।
এর মধ্যে ঢাকার বনানীর রেইনট্রি হোটেলের ধর্ষণ মামলার রায়ে বিচারক ধর্ষণের ৭২ ঘণ্টা পর মামলা না নেয়ার পর্যবেক্ষণ দিলে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এর প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। এর মধ্যে এই বিচারককে প্রত্যাহার করা হয়েছে।