জামাতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদে আরো দুই দিনের রিমান্ডের অনুমতি দিয়েছে আদালত।
রাজধানীর ভাটারা থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় এর আগে চার দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।
একই সঙ্গে গ্রেপ্তার জামাতের এই পাঁচজন ছাড়া রোববার বাকি চারজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক মাসুদ-উর-রহমান।
নতুন করে রিমান্ডে যাওয়া অন্য আসামিরা হলেন জামাতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদের সদস্য ইজ্জত উল্লাহ, মোবারক হোসেন, ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত ও রফিকুল ইসলাম খান।
রোববার আদালতে মনিরুল ইসলাম ও আবুল কালাম নামে দুই জন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দেন। তাদেরসহ দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ ও আব্দুর রবকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এদিন হাকিম শহিদুল ইসলাম আসামি মনিরুল ইসলাম এবং হাকিম মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়া আরেক আসামি আবুল কালামের জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতে পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই রনপ কুমার ভক্ত এসব তথ্য জানান।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান জোনাল টিমের পরিদর্শক কাজী ওয়াজেদ মিয়া রিমান্ডে থাকা ৯ আসামিকে আদালতে হাজির করেন।
তিনি মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ ৫ জনকে ফের ১০ দিনের রিমান্ড, দুই আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি এবং অন্য দুই আসামিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
গত ৬ সেপ্টম্বর রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাড়িতে থেকে জামাতের সেক্রেটারি জেনারেলসহ তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সেখানে তারা একটি বৈঠক করছিলেন।
রোববার নতুন করে রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, “তদন্তে জানা গেছে ৫ আসামিসহ তাদের সহযোগীরা ঘটনার দিন ও সময়ে ঘটনাস্থলে সমবেত হয়ে বর্তমান সরকারকে অবৈধভাবে উৎখাত, প্রজাতন্ত্রের ব্যক্তিসত্ত্বা বা প্রজাতন্ত্রের সম্পত্তির ক্ষতিসাধনের উদ্দেশ্যে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল।
“তারা বিভিন্ন উস্কানিমূলক লিফলেট তৈরি করে তা বিলি করে সাধারণ মানুষকে ধ্বংসাত্মক কাজে উদ্বুদ্ধ করে।“
এতে আরও বলা হয়, তারা সরকারকে অবৈধভাবে উচ্ছেদ করার লক্ষ্যে সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টির পায়তাড়ায় আর কি কি পরিকল্পনা করেছিল, পরিকল্পনার নেপথ্যে আর কে কে জড়িত, দেশের অখণ্ডতা, সংহতি, জননিরাপত্তা বা সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করার কাজে তারা কী ধরনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল এবং এ ধরনের কাজে তাদের কোথা থেকে, কিভাবে অর্থ সংস্থান হয় তা এখনো সুনির্দিষ্টভাবে জানা যায়নি।“
এ জন্য তাদের আরও জিজ্ঞাসাবাদে রিমান্ডে নেয়া প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন তদন্ত কর্মকর্তা। আসামিদের পক্ষে আইনজীবী আব্দুর রাজ্জাকসহ আরও কয়েকজন রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু রিমান্ডের পক্ষে ও জামিন আবেদনের বিরোধিতা করে শুনানি করেন। বিডি নিউজ ।