জাল টাকা উদ্ধারের মামলায় নরসিংদী যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়া, তাঁর স্বামী মফিজুর রহমানসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। মঙ্গলবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত এই আদেশ দেন। আগামী ১৩ অক্টোবর সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ঠিক করা হয়েছে। আসামিপক্ষের আইনজীবী সাখাওয়াত উল্লাহ এ তথ্য জানিয়েছেন। মামলার অপর দুই আসামি হলেন সাব্বির খন্দকার ও শেখ তায়িবা নূর।
গত বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে বুকিং দেওয়া বিলাসবহুল প্রেসিডেনশিয়াল স্যুট রুম এবং ইন্দিরা রোডের ফ্ল্যাট থেকে র্যাব ১টি বিদেশি পিস্তল, ২টি ম্যাগাজিন, পিস্তলের ২০টি গুলি, ৫ বোতল দামি বিদেশি মদ ও ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, ৫টি পাসপোর্ট, ৩টি চেক, কিছু বিদেশি মুদ্রা, বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি ভিসা ও এটিএম কার্ড উদ্ধার করে। এ ঘটনায় পাপিয়া, তাঁর স্বামীসহ অন্যদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করে পুলিশ।
অস্ত্র মামলায় বিচার শেষে ঢাকার একটি আদালত পাপিয়া ও তাঁর স্বামীকে ২০ বছর কারাদণ্ড দেন আদালত। এ ছাড়া মাদক মামলায় পাপিয়া ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে ঢাকার আরেকটি আদালতে বিচার চলমান রয়েছে।
২০০৬ সালে নরসিংদী সরকারি কলেজে পড়ার সময় পাপিয়ার সঙ্গে মফিজুরের সম্পর্ক হয়। ২০০৯ সালে তাঁরা বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকেই তাঁরা স্থানীয় রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে ওঠেন। ২০১০ সালে নরসিংদী শহর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক করা হয় পাপিয়াকে। সর্বশেষ ২০১৮ সালে তাঁকে জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক করা হয়।