নিয়মিত আদালত বন্ধ থাকায় মুনিয়া আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলা থেকে বসুন্ধরার এমডি সায়েম সোবহান আনভীরকে অব্যাহতি দিয়ে গুলশান থানা পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনের ওপর শুনানি হয়নি। বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) এর ওপর শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দুপুরে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের (সিএমএম) সাধারণ নিবন্ধন শাখার নিবন্ধন কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মো. আলমগীর হোসেন গণমাধ্যমকে শুনানি না হওয়ার বিষয়টি জানান।
তিনি বলেন, নিয়মিত আদালত চালু হওয়ার পরে শুনানির নতুন তারিখ নির্ধারিত হবে এবং পুলিশের জমা দেওয়া প্রতিবেদন গৃহীত হবে কি না সে বিষয়ে আদালত সিদ্ধান্ত দেবেন।
মামলার বাদী নুসরাত জাহান তানিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, পুলিশের জমা দেওয়া প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে আমি নারাজি আবেদন করবো এবং বিচারের জন্য সর্বোচ্চ আদালত পর্যন্ত লড়ে যাব।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের সহযোগিতা পাইনি। প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আগে তারা আমার সঙ্গে যোগযোগ করেননি।’
গত ১৯ জুলাই গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবুল হাসান মুনিয়া আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলা থেকে বসুন্ধরার এমডি সায়েম সোবহান আনভীরকে অব্যাহতি দিয়ে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেন।
উল্লেখ্য কোনো মামলায় পুলিশ রিপোর্ট বাদির পছন্দ না হলে তিনি ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ২০০ ধারা অনুযায়ি নারাজি আবেদন দাখিল করতে পারেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ম্যাজিষ্ট্রেট মামলাটি পুন:তদন্ত এবং তদন্তকারি কর্মকর্তা পরিবর্তনের নির্দেশ দিতে পারেন। আর নারাজি খারিজ হলে এর বিরুদ্ধে দায়রা জজ আদালতে আপিল করতে পারেন বাদি। হাইকোর্টে রিভিশন করার সুযোগও রয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। তবে আইনগত ভাবে আসামির নারাজি আবেদনের সুযোগ নেই।
গত ২৬ এপ্রিল রাতে গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে মুনিয়ার মরদেহ উদ্ধারের পর দায়ের হওয়া মামলায় আসামি করা হয় দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী গোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরকে। মামলায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে।