ঢাকা   শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১   সন্ধ্যা ৭:১০ 

সর্বশেষ সংবাদ

জলাধার সংরক্ষণ নিয়ে হাইকোর্টের যুগান্তকারী রায় প্রকাশ: নতুন দুটি মন্ত্রণালয় গঠনের সুপারিশ

নদী, খাল, বিল, হাওরসহ সব জলাভূমি ও জলাধার সংরক্ষণ ও রক্ষায় ‘নবায়নযোগ্য জ্বালানি’ ও ‘জলাভূমি’ নামে দুটি পৃথক মন্ত্রণালয় গঠনের সুপারিশ করা হয়েছে হাই কোর্টের এক রায়ে।
একই সঙ্গে ‘নবায়নযোগ্য জ্বালানি’ ও ‘জলাভূমি রক্ষা, উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা’ বিষয়ে পৃথক আইন প্রণয়নেরও তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া রায়ে জলাধার বা জলাভূমি দূষণ বা ক্ষতিগ্রস্ত করে উন্নয়ন প্রকল্প ও শিল্পাঞ্চল বা অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন এবং জলাধারের শ্রেণি পরিবর্তন করা যাবে না বলেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আবাসন ব্যবসায়ী নূর আলীর ইউনিক প্রপার্টি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের ‘সোনারগাঁ রিসোর্ট সিটি ও সোনারগাঁ ইকোনমিক জোনের’ মাটি ভরাট কার্যক্রম অবৈধ ঘোষণা সংক্রান্ত হাই কোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায়ে এসব নির্দেশনা ও সুপারিশ এসেছে।
বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাই কোর্ট বেঞ্চ জনস্বার্থে করা এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর এই রায় দিয়েছিল।
রোববার রায়টি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। ১৩২ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়টি লিখেছেন বিচারপতি মো. আমরাফুল কামাল। রায়ের সঙ্গে সহমত প্রকাশ করেছেন বিচারপতি রাজিল আল জলিল।
রায়ে সুপারিশের পাশাপাশি কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আদালত পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলেছে, “এই রায়ের অনুলিপি সরাসরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ মনোযোগ আকর্ষণের জন্য পাঠানো হোক, যাতে তিনি তাঁর ব্যক্তিগত উদ্যোগে বাংলাদেশের সব জলাভূমি রক্ষায় জরুরিভিত্তিক পদক্ষেপ নিতে পারেন।“
হাই কোর্ট গত ডিসেম্বরে শুনানি শেষে রায়ে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের পিরোজপুর, জৈনপুর, চরহিস্যা, চরভবনাথপুর, ভাটিয়াবান্দা ও রতনপুরের কৃষিজমি, নিচু ভূমি ও জলাভূমিতে মাটি ভরাট অবৈধ ঘোষণা করে।
ইউনিক প্রপার্টিজ এই ছয় মৌজার কৃষিজমি, জলাভূমি ও মেঘনা নদীর অংশবিশেষ ভরাট করে সোনারগাঁ রিসোর্ট সিটি নির্মাণের কাজ শুরু করে।
এই প্রকল্পের কার্যক্রম শুরুর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০১৪ সালে রিট করে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)।
শুনানি নিয়ে ওই বছরের ২ মার্চ হাই কোর্ট রুল জারির পাশাপাশি ওই এলাকায় ইউনিক প্রপার্টিজের মাটি ভরাট কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা দেয়।
এরপর সোনারগাঁ ইকোনমিক জোনের জন্য প্রাক্-যোগ্যতার অনুমোদন পেয়েছে জানিয়ে ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট লিমিটেড হাই কোর্টের আগের আদেশ সংশোধন চেয়ে আবেদন করে।
এই আবেদনের শুনানি নিয়ে হাই কোর্ট নিষেধাজ্ঞার আদেশ সংশোধন করে কার্যক্রম পরিচালনার আদেশ দেয়।
এই আদেশের বিরুদ্ধে বেলা আপিল করলে আপিল বিভাগ হাই কোর্টের নিষেধাজ্ঞার আদেশ বহাল রাখে। পরে রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত বছরের ২ ডিসেম্বর রায় দেওয়া হয়।
আদালতে বেলার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ফিদা এম কামাল, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, মিনহাজুল হক চৌধুরী, আলী মুস্তফা খান ও সাঈদ আহমেদ কবীর।
সোনারগাঁ ইকোনমিক জোনের পক্ষে রুল শুনানি করেন আইনজীবী মুরাদ রেজা ও আহসানুল করিম। ইউনিক প্রপার্টিজের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. আবু তালেব।
রায়ে ওই ছয় মৌজার কৃষিজমি, নিচু ভূমি ও জলাভূমি কী পরিমাণ দখল ও বালু দিয়ে ভরাট করা হয়েছে, সেটির পরিমাণ ও ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করার জন্য যৌথভাবে পরিবেশ অধিদপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
এছাড়া রায়ের অনুলিপি পাওয়ার পরবর্তী ছয় মাসের মধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসন তদন্ত সাপেক্ষে ওই ছয়টি মৌজায় বালু দিয়ে ভরাট করা কৃষিজমি, নিচু ভূমি ও জলাভূমি সোনারগাঁ রিসোর্ট সিটি ও সোনারগাঁ ইকোনমিক জোনের খরচে পুনরুদ্ধার করে আগের অবস্থায় ফেরত আনতে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
একই সঙ্গে রায়ে বলা হয়, “সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণের পরিমাণ নির্ধারণ করে প্রাপ্য ক্ষতিপূরণ ১১ ও ১২ নম্বর প্রতিপক্ষ থেকে আদায় করে দেওয়ার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হল।“
জলাধারের শ্রেণি পরিবর্তন করা যাবে না
পূর্ণাঙ্গ রায়ে সংবিধানের ১৮ক অনুচ্ছেদের উল্লেখ করে রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, “দেশের সব জলাভূমির সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা বিধান রাষ্ট্র পরিচালনার অন্যতম মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে।“
আর ‘হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংরাদেশ বনাম বাংলাদেশ সরকার ও অন্যান্য’ রিট মামলার রায় তুলে ধরে বলা হয়েছে, “পাবলিক ট্রাস্ট সম্পত্তি তথা জনগণের ন্যস্ত সম্পত্তি তথা জাতীয় সম্পত্তি।
ফলে প্রকৃতি, পরিবেশ, জলবায়ু, জলাভূমি, সমুদ্র, সৈকত, নদ-নদী, নদ-নদীর পাড়, খাল-বিল, হাওর-বাওর, নালা, ঝিল, ঝিরি এবং সব প্রকার উন্মুক্ত জলাভূমি, পাহাড়-পর্বত, বন, বন্যপ্রাণী এবং বাতাস বিভাগীয় শহর ও জেলা শহরের পৌর এলাকাসহ দেশের সকল পৌর এলাকার খেলার মাঠ, উন্মুক্ত স্থান, উদ্যান এবং প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন, ২০০০ এর ৫ ধারা মোতাবেক জলাধার হিসেবে চিহ্নিত জায়গায় শ্রেণি পরিবর্তন করা যাবে না।“
জলাধার বা জলাভূমি দূষণ বা ক্ষতিগ্রস্ত করে উন্নয়ন প্রকল্প, শিল্পাঞ্চল বা অর্থনৈতিক অঞ্চল নয়
‘জলাধার কনভেনশন’ নামে পরিচিত আন্তরাষ্ট্রীয় বৈশ্বিক চুক্তি ‘রামশার কনভেনশন’ অঙ্গীকার তুলে ধরে রায়ে বলা হয়েছে, “রামশার কনভেনশন চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে বাংলাদেশ সকল জলাভূমির তালিকা করে তা রামশার কনভেনশনের তালিকাভূক্তিকরণ, সংরক্ষণ এবং বিচক্ষণ ব্যবহার (ওয়াইজ ইউজ) করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিকট অঙ্গিকারাবদ্ধ।“
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল আইন, ২০১০ এর ৩৩ ধারা তুলে ধরে বলা হয়েছে, “পরিবেশ আইন ও সরকার স্বীকৃত, অনুমোদিত পরিবেশগত আন্তর্জাতিক সব কনভেনশন, প্রটোকল এবং আইন মেনে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করতে হবে। কোনোভাবেই এসব আইনের পরিপন্থি কোনো অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা যাবে না।“
সংবিধানের ১৮ক অনুচ্ছেদ, অর্থনৈতিক অঞ্চল আইন ২০১০, রামশার কনভেনশন, তুরাগ নদীর রায় অনুযায়ী প্রকৃতি ও পরিবেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করে কোনো উন্নয়ন প্রকল্প, শিল্পাঞ্চল এবং অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা যাবে না বলেও রায়ে উল্লেখ করা হয়।
সুপেয় বা পানযোগ্য, নিত্য ব্যবহার উপযোগী পানি, ফলন উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় সেচের পানি তেলের চেয়েও মূল্যবান উল্লেখ করে রায়ে বলা হয়েছে, “তেল বা জীবাশ্ম জ্বালানি ছাড়া মানবজাতি চলতে পারে। কিন্তু সুপেয় বা পানযোগ্য পানি বা নিত্য ব্যবহার উপযোগী পানি ছাড়া মানবজাতি, প্রাণীকুল, জীবজগৎ এক মুহূর্ত চলতে পারবে না।“
বিকল্প হিসেবে নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনের পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি সুপেয় পানির ভাবিষ্যত গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে রায়ে।
এতে বলা হয়েছে, “সৌদি আরব যদি তেলের খনির অধিকারী হয়, তাহলে বাংলাদেশ সুপেয় পানি বা ব্যবহার উপযোগী পানির অধিকারী। ভবিষ্যতে এক গ্যালন তেলের দামের চাইতেও দশগুন বেশি দাম দিয়ে পানি কিনতে হতে পারে।“
তাই সুপেয় পানি বা ব্যবহার উপযোগী পানির ক্ষেত্র বা উৎসের ক্ষতি করে কোনো উন্নয়ন পরিকল্পনা না করার জন্য সতর্ক করা হয়েছে রায়ে।
পাশাপাশি নবায়ণযোগ্য জ্বালানি আইন প্রণয়ন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা এবং জাতীয় নবায়নযোগ্য জ্বালানি কমিশন গঠনসহ ১৪টি সুপারিশ করা হয়েছে রায়ে।
এগুলো হল-
>> জার্মানির নীতি অনুসরন পূর্বক বাংলাদেশকে শতভাগ নবায়নযোগ্য জ্বালানিনির্ভর রাষ্ট্রে পরিণত করার মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করা;
>> এই সংক্রান্ত রায়ের দ্রুত বাস্তবায়ন;
>> ‘সাইকেল লেন ছাড়া কোনো সড়ক নয়’ নীতি অবলম্বন করে ঢাকাসহ বাংলাদেশের সকল সড়ক ও মহাসড়কে বাধ্যতামূলক বাইসাইকেল লেন এবং সাইকেল স্ট্যান্ড নির্মাণ;
>> বাংলাদেশের সকল নদ-নদী এবং খালের উভয় পাড়ে পার্ক স্থাপন, হাঁটার পথ এবং বাইসাইকেলের জন্য পৃথক লেন করা;
>> বাংলাদেশকে নেদারল্যান্ডসের মত বাইসাইকেলের দেশ হিসেবে তৈরি করার দীর্ঘমেয়াদী কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা;
>> বাংলাদেশের সকল বিল, হাওর-বাওর, নালা, ঝিল, ঝিরিসহ সকল জলাভূমির চারপাশে সুরক্ষা বেষ্টনী দিয়ে পায়ে চলার পথ তৈরি করা’
>> প্লাস্টিক ব্যাগ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করে ১ হাজার ২০০ বছরের পুরনো জাপানের ঐহিত্যবাহী ফুরসকি ব্যাগ তথা বাজার করার ব্যাগ তথা মোড়ানো কাপড়ের ব্যাগ ব্যবহারের প্রচলন করা;
>> সকল উন্নয়ন পরিকল্পনায় ইকোসেন্ট্রিক তথা প্রকৃতিকেন্দ্রীক পন্থা অবলম্বন গ্রহণ করা;
>> জেনোসাইডের মত ইকোসাইডকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন, ১৯৭৩ এর ৩ ধারায় অন্তর্ভূক্তকরণ;
>> বাংলাদেশের সকল জাতীয় পার্কে, জাতীয় উদ্যানকে পৃথক ব্যবস্থাপনা, রক্ষণ, সংরক্ষণ এবং পারিচালনার নিমিত্তে পৃথক কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করে আমেরিকার জাতীয় উদ্যানের আদলে বিশেষ করে ইয়োসমেটিক ন্যাশনাল পার্কের আদলে তৈরি করা;
>> বাংলাদেশের ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যগুলো (সুন্দরবন, বাগেরহাটের ঐতিহাসিক মসজিদ শহর এবং পাহাড়পুরের বৌদ্ধ বিহার) বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করে রক্ষণ, সংরক্ষণ এবং উন্নয়নের লক্ষ্যে পৃথক কর্তৃপক্ষ তথা বিশ্ব ঐতিহ্যগুলো সুন্দরবন, বাগেরহাটের ঐতিহাসিক মসজিদ শহর এবং পাহাড়পুরের বৌদ্ধ বিহার রক্ষণ, সংরক্ষণ এবং উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করা।
মামলাটি চলমান (কন্টিনিউয়াস মেন্ডামাস) রেখে রায়ে জলাভূমির সুরক্ষা, উন্নয়ন এবং ব্যবস্থাপনায় অবিলম্বে আলাদা ‘জলাভূমি মন্ত্রণালয়’ সৃষ্টির পাশাপাশি জলাভূমি সুরক্ষা, উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনায় দ্রুত আইন প্রণয়নের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়েছে, যেহেতু বাংলাদেশ ‘রামশার কনভেনশন’ বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করে আন্তর্জাতিক চুক্তি সম্পাদন করেছে সেহেতু উক্ত অঙ্গীকার এবং চুক্তি বাস্তবায়নে দ্রুত জাতীয় নীতিমালা গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন করা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আইনগত দায়িত্ব ও কর্তব্য।
রায়ের আরও কিছু নির্দেশনা দিয়েছে উচ্চ আদালত। এতে বলা হয়েছে, “অর্থনৈতিক অঞ্চল আইন, ২০১০ এর ৩৩ ধারা অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার আবেদন করলে আবেদনপত্রের সাথে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র সংযুক্তকরণ বাধ্যতামূলক করতে হবে।“
ডিজিটাল ডাটাবেজ প্রণয়নের ক্ষেত্রে এসপিএ, আরআর এসও সেটেলাইটের সাহায্যে আরএস/জিআইএস প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে দেশেল সব জলাভূমির ভৌগলিক অবস্থান নির্ণয় এবং জীব বৈচিত্র বিষয়ক তথ্যাদি সংগ্রহ করে দেশের সকল ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলার ম্যাপ প্রস্তুত করে উন্মুক্ত স্থানে প্রদর্শন করতে হবে।
আদালত সরকারি–বেসরকারি প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দুই মাস অন্তর এক দিন এক ঘণ্টাব্যাপী জলাভূমির প্রয়োজনীয়তা, উপকারিতা, রক্ষা ও দূষণ বিষয়ে সচেতনতামূলক ক্লাস নিতে নির্দেশ দিয়েছে।
নির্দেশ অনুসারে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্লাস নিচ্ছে কি না, তা তদারক করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া দেশের প্রতিটি ইউনিয়ন, উপজেলা, পৌরসভা ও জেলায় প্রতি তিন মাস অন্তর এক দিন জলাভূমির প্রয়োজনীয়তাবিষয়ক দিনব্যাপী র‍্যালি, চিত্র প্রদর্শনী, বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতা, আলোচনা ও সেমিনার করতে পরিষদগুলোর চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। বিডি নিউজ ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সবচেয়ে আলোচিত