‘বালিশকাণ্ড’ হিসেবে বহুল আলোচিত রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে আবাসন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে হওয়া মামলায় পাবনা গণপূর্ত বিভাগের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুল আলমসহ ৭ প্রকৌশলীর জামিন কেন বাতিল করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।
সোমবার জামিন বাতিলে দুদকের আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের ভার্চ্যুয়াল বেঞ্চ এই দুই সপ্তাহের রুল দেন।
দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান, রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
পাবনায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের গ্রিন সিটি প্রকল্পের ২০ ও ১৬ তলা ভবনের ১১০টি ফ্ল্যাটের জন্য অস্বাভাবিক দামে বালিশসহ আসবাব ও অন্যান্য সামগ্রী কেনায় ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর পাবনায় পৃথক চারটি মামলা করে দুদক।
দুদকের উপ-পরিচালক নাসির উদ্দিন ও উপ-সহকারী পরিচালক শাহজাহান মিরাজ বাদী হয়ে পাবনায় দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে এসব মামলা করেন।
ওই প্রকল্পে দুর্নীতির বিষয়ে ২০১৯ সালের ১৬ মে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের থাকার জন্য গ্রিন সিটি আবাসন পল্লীতে ২০ তলার ১১টি ও ১৬ তলার আটটি ভবন হচ্ছে। এরই মধ্যে ২০ তলার আটটি ও ১৬ তলার একটি ভবন নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে।
ভবনের প্রতিটি ফ্ল্যাটের জন্য একটি বৈদ্যুতিক চুলার দাম ধরা হয়েছে সাত হাজার ৭৪৭ টাকা এবং তা ভবনে তুলতে খরচ ধরা হয়েছে ছয় হাজার ৬৫০ টাকা, একটি বালিশের দাম ধরা হয়েছে পাঁচ হাজার ৯৫৭ টাকা এবং তা ভবনে তুলতে খরচ ধরা হয়েছে ৭৩০ টাকা। একটি বৈদ্যুতিক কেটলির দাম পাঁচ হাজার ৩১৩ টাকা, যা তুলতে খরচ দেখানো হয়েছে দুই হাজার ৯৪৫ টাকা।
৭ প্রকৌশলী হলেন পাবনা গণপূর্ত বিভাগের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুল আলম, উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী আহমেদ সাজ্জাদ খান ও মোস্তফা কামাল, উপ সহকারী প্রকৌশলী জাহিদুল কবীর, শফিকুল ইসলাম, সহকারী প্রকৌশলী মো. তারেক ও আমিনুল ইসলাম।