ঢাকা   শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১   রাত ১:০৩ 

সর্বশেষ সংবাদ

বৃহস্পতিবার থেকে ভার্চুয়ালি চলবে হাইকোর্ট ও নিম্ন আদালতে বিচারকাজ

চলমান কঠোর বিধিনিষেধ শিথিলের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) থেকে হাইকোর্ট ও নিম্ন আদালতে বিচারকাজ ভার্চুয়ালি চলবে। হাইকোর্টে বিচার কাজ পরিচালানার জন্য ৩৮ বেঞ্চ গঠন করে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। আর সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর জারি করা সার্কুলারে বলা হয়েছে, ১৫ জুলাই থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত শারীরিক উপস্থিতি বাদ রেখে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে অধস্তন আদালতে বিচারকাজ চলবে।
বুধবার (১৪ জুলাই) হাইকোর্টে ৩৮ বেঞ্চ গঠনের বিষয়ে প্রধান বিচারপতির আদেশ সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।
আদেশে বলা হয়, শারীরিক উপস্থিতি ছাড়া শুধু আগামী ১৫ জুলাই সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল সোয়া ৪টা পর্যন্ত ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে হাইকোর্ট বিভাগের বিচার কাজ পরিচালনার জন্য বেঞ্চগুলো গঠন করা হলো। অবকাশকালীন ছুটি শুরুর আগের দিন এই ৩৮টি বেঞ্চে ভার্চুয়ালি বিচার কাজ চলবে। এরপর শুক্রবার (১৬ জুলাই) ও শনিবার (১৭ জুলাই) সাপ্তাহিক ছুটির কারণে বিচারকাজ বন্ধ থাকবে। তারপর আগামী ১৮ জুলাই (রোববার) থেকে ২৯ জুলাই (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের অবকাশকালীন ছুটি চলবে।

এদিকে অবকাশকালে বিচারকাজ পরিচালনার জন্য হাইকোর্টে চারটি বেঞ্চ গঠন করে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। বেঞ্চগুলো হলো- অতি জরুরি সব রিট মোশন ও দেওয়ানি মোশন আবেদন গ্রহণ করবেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম। অতি জরুরি সব ফৌজদারি মোশন আবেদন গ্রহণ করবেন বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি আশরাফুল কামাল। আর কোম্পানি ও অ্যাডমিরালিটি সংক্রান্ত আবেদন গ্রহণ করবেন বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের।

নিম্ন আদালত সম্পর্কে নির্দেশনা:
বৃহস্পতিবার থেকে সারাদেশের নিম্ন আদালতে বিচারকাজ চলবে ভার্চুয়ালি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে শারীরিক উপস্থিতিতেও পরিচালনা করা যাবে বিচারকাজ।

বুধবার (১৪ জুলাই) প্রধান বিচারপতির নির্দেশক্রমে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর এ বিষয়ে সার্কুলার জারি করেছেন।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসজনিত পরিস্থিতিতে আগামী ১৫ জুলাই থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত শারীরিক উপস্থিতি বাদ রেখে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে দেশের অধস্তন দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত এবং ট্রাইব্যুনালসমূহ কর্তৃক ‘তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার আইন ২০২০’ এবং এই কোর্ট কর্তৃক জারিকৃত এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি অনুসরণপূর্বক সব দেওয়ানি ও ফৌজদারি দরখাস্ত/আপিল/রিভিশন/বিবিধ মামলাসহ শুনানি গ্রহণও (সাক্ষ্য গ্রহণ বাদে) নিষ্পত্তি করবেন।
আরও বলা হয়, স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক শারীরিক উপস্থিতিতে অধস্তন দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত এবং ট্রাইব্যুনালসমূহে মামলা দায়ের করা যাবে। স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনপূর্বক সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে শারীরিক উপস্থিতিতে সাক্ষ্যগ্রহণপূর্বক সাকসেশন ও অভিভাবকত্ব নির্ধারণ বিষয়ক মামলা শুনানি ও নিষ্পত্তি করা যাবে।
‘ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তি/ব্যক্তিগণ অধস্তন ফৌজদারি আদালত এবং ট্রাইব্যুনালসমূহে শারীরিক উপস্থিতিতে আত্মসমর্পণ আবেদন দাখিল করতে পারবেন। এক্ষেত্রে শুনানি কার্যক্রমের পদ্ধতি ও সময়সূচি এমনভাবে নির্ধারণ ও সমন্বয় করতে হবে যাতে আদালত প্রাঙ্গণে এবং আদালত ভবনে জনসমাগম না ঘটে। আত্মসমর্পণ দরখাস্ত শারীরিক উপস্থিতিতে শুনানির সময় অভিযুক্ত ব্যক্তি এবং তার পক্ষে নিযুক্ত আইনজীবী ছাড়া অন্য কোনো আইনজীবী এজলাস কক্ষে অবস্থান করবেন না। একটি আত্মসমর্পণের শুনানি শেষে সংশ্লিষ্ট আইনজীবী এজলাসকক্ষ ত্যাগ করার পর বিচারক/ম্যাজিস্ট্রেট পরবর্তী আত্মসমর্পণের দরখাস্ত শুনানির জন্য গ্রহণ করবেন।’
সার্কুলারে বলা হয়েছে, অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালে জামিন শুনানিকালে এবং মামলার অন্যান্য কার্যক্রমে হাজতি আসামিদের কারাগার থেকে প্রিজনভ্যান বা অন্য কোনোভাবে আদালতকক্ষে হাজির না করার নির্দেশ দেওয়া হলো। হাজতি আসামির রিমান্ড শুনানির ক্ষেত্রে কারাগারে ভিডিও কনফারেন্সের লিংক প্রেরণ করে শুনানি গ্রহণকারী ম্যাজিস্ট্রেট আসামিকে কারাগার কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় ভার্চুয়ালি দেখে রিমান্ড শুনানি করতে পারবেন।
সার্কুলারে বলা হয়, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় প্রত্যেক চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এক বা একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক শারীরিক উপস্থিতিতে দায়িত্ব পালন করবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সবচেয়ে আলোচিত