ঢাকা   শুক্রবার, ৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৯ আশ্বিন ১৪৩১   রাত ৮:০৯ 

সর্বশেষ সংবাদ

আরও ৭ দিনের রিমান্ডে মামুনুল, ছিল পাকিস্তানি জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পৃক্ততা

হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে আরো দুই মামলায় ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। পল্টন ও মতিঝিল থানার নাশকতার দুই মামলায় রিমান্ডের জন্য সোমবার তাকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করা হয়। ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরীর আদালতে তাকে ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের আবেদন জানায় পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিকে মামুনুলের সঙ্গে পাকিস্তানের একটি জঙ্গি গোষ্ঠীর সম্পৃক্ততা ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দাবি, ২০০৫ সালে মামুনুল হক পাকিস্তানে যান। সেখান থেকে পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ এনে দেশের বিভিন্ন স্থানে বোমা হামলা, অগ্নিসংযোগ ও সংহিতার ঘটনা ঘটান। এছাড়া হেফাজতের এই নেতা সরকার উৎখাতের পরিকল্পনা করেছিলেন বলেও দাবি পুলিশের।

রবিবার বিকালে ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. হারুন-অর-রশীদ রিমান্ডে থাকা মামুনুল হকের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘মামুনুল হকের ভগ্নিপতি মুফতি নেয়ামতউল্লাহর সঙ্গে ২০০৪ সালের গ্রেনেড হামলায় অভিযুক্ত তাজউদ্দিনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। নেয়ামতউল্লাহ দীর্ঘদিন পাকিস্তানে ছিলেন। সেখান থেকে এসে জামিয়া রাহমানিয়ার শিক্ষক হন। এরপর মামুনুল হকের বোনকে বিয়ে করেন। পরবর্তী সময়ে এই হামলার ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নেয়ামতউল্লাহকে গ্রেপ্তার করে। তৎকালীন সরকারের সঙ্গে মামুনুল হকের বাবা দেনদরবার করে তাকে ছাড়িয়ে আনেন।’
হারুন-অর-রশিদ বলেন, ‘নেয়ামতউল্লাহ ও মামুনুল হক একসঙ্গে ৪৫ দিন পাকিস্তানে ছিলেন। সেখানে একটি ধর্মীয় রাজনৈতিক সংগঠনকে মডেল হিসেবে বাংলাদেশে এনে সালাফি, মওদুদি, হানাফি, কওমি, দেওবন্দসহ সকল মতাদর্শের লোকদের একত্রিত করেন। বিভিন্ন দেশ থেকে আসা টাকা দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপি-জামায়াতের অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছেন। সেই যোগাযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মামুনুল হকের আপন ভায়রা রয়েছেন জামায়াতপন্থী। তার নাম কামরুল ইসলাম আনসারি। তার বাড়ি টেকেরহাটে। তিনি জামায়াতের নেতা। তার মাধ্যমে মামুনুল হক জামায়াতের সঙ্গে গোপন আঁতাত করেন।’

পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘রাজনৈতিক মতাদর্শকে মডেল এনে হেফাজতকে সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করেন মামুনুল হক। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের কওমি মাদ্রাসার ধর্মভীরু মানুষ তার ডাকে সাড়া দিয়ে এমন একটি অবস্থা তৈরি করেছে। তিনি সংসদ ভবন, গণভবন, বঙ্গভবন, বড় বড় সংসদ সদস্য, মন্ত্রীদের তোয়াক্কা করতেন না। তিনি এমনও বলতেন যে, প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে কেউ কটূক্তি করলে ১২ ঘণ্টার মধ্যে গুম হয়ে যায়। কে গুম হয়েছে জানতে চাইলে তিনি উত্তর দিতে পারেননি। তিনি শাহরিয়ার কবিরকে মুরগী চোর বলেছেন, বিভিন্ন মন্ত্রী-এমপিদের বলেছেন, তার দিকে তাকালে চোখ উপরে ফেলবেন। এসব বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদে কোনো উত্তর দিতে পারেননি মামুনুল হক।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সবচেয়ে আলোচিত