ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ডিএসসিসি মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসকে নিয়ে ‘মানহানিকর বক্তব্য’ দেওয়ার অভিযোগে সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে দুটি মামলার আবেদন হয়েছে ঢাকার আদালতে। কাজী আনিসুর রহমান এবং অ্যাডভোকেট মো. সারওয়ার আলম নামের দুই ব্যক্তি সোমবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে আবেদন দুটি করেন।
মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরী দুই আবেদনকারীর আর্জি শুনেছেন এবং এ বিষয়ে মঙ্গলবার আদেশ দেবেন বলে আদালতের বেঞ্চ সহকারী রিপন মিয়া জানিয়েছেন। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।
ফুলবাড়িয়া মার্কেটে সাম্প্রতিক উচ্ছেদ অভিযানে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা পুনর্বাসনের দাবিতে শনিবার ঢাকায় কদম ফোয়ারার সামনে মানববন্ধন করেন। সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন ওই কর্মসূচিতে সংহতি জানাতে এসে বর্তমান মেয়র তাপসের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তোলেন।
তিনি বলেন, “তাপস দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের শত শত কোটি টাকা তার নিজ মালিকানাধীন মধুমতি ব্যাংকে স্থানান্তর করেছেন এবং এই শত শত কোটি টাকা বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা লাভ হিসেবে গ্রহণ করছেন। অন্যদিকে অর্থের অভাবে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের গরিব কর্মচারীরা মাসের পর মাস বেতন পাচ্ছেন না, সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প অর্থের অভাবে বন্ধ হয়ে গেছে।”
‘এ ধরনের কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে’ তাপস সিটি করপোরেশন আইনের ৯(২)(জ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী মেয়র পদে থাকার ‘যোগ্যতা হারিয়েছেন’ বলেও মন্তব্য করেন সাঈদ খোকন।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মেয়র তাপস সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, “আমি লক্ষ্য করেছি, তিনি মানহানিকর বক্তব্য দিয়েছেন। যেহেতু মানহানিকর বক্তব্য দিয়েছেন, সুতরাং আইনি ব্যবস্থা নেব।”
দুর্নীতির অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই দাবি করে তাপস বলেন, গত ১৭ মে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে আসছেন। সেই অভিযান এখনও চলছে।
“সেখান গণমাধ্যম কর্মীদের মাধ্যমে মার্কেট সংক্রান্ত দুর্নীতির কিছু তথ্য বের হয়ে এসেছে। সেখানে যে টাকা লেনদেন হয়েছে, তা বের হয়ে এসেছে। যাদের সঙ্গে টাকা লেনদেন হয়েছে, যারা এর সঙ্গে জড়িত তারাই এখন আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে।”
সাবেক মেয়রের দিকে ইংগিত করে বর্তমান মেয়র বলেন, “আমি কোনো অভিযোগ আনি নাই। এখানে যারা অবৈধভাবে দোকান দখল করেছে, টাকা লেনদেন করেছে… এখন তিনি পুরো দোষ আমার উপরে চাপাচ্ছেন। এটা অনভিপ্রেত এবং শুধু আক্রোশের বশবর্তী হয়ে।”
পরে জনসংযোগ কর্মকর্তার মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ বিষয়ে নিজের প্রতিক্রিয়া জানান আওয়ামী লীগ নেতা সাঈদ খোকন।
সেখানে বলা হয়, “তাপসের মান সম্মানের বাজারমূল্য কত? মামলার পূর্ণাঙ্গ বিবরণী পাওয়ার পর সেটা আমি জানতে পারব। এ মামলার আইনি মোকাবেলার পাশাপাশি রাজপথে দেনা পাওনার হিসেব হবে, ইনশাআল্লাহ।”