পরিবেশ অধিদপ্তরের কাজ যথাযথভাবে পালনে সংস্থাটির জনবল বৃদ্ধি এবং জেলা-উপজেলায় কার্যালয় স্থাপন ও গবেষণার ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।
সংস্থাটির জনবল ও কার্যালয়ের সংখ্যা বাড়াতে নির্দেশনা চেয়ে করা এক সম্পূরক আবেদনের শুনানি নিয়ে রোববার বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল দেন।
মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে গত সপ্তাহে সম্পূরক আবেদনটি করা হয়েছিল। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। শুনানিতে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে আইনজীবী আমাতুল করীম এবং রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান ছিলেন।
আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, বিভিন্ন স্থানে কার্যালয় না থাকাসহ জনবল স্বল্পতার কারণে সময়মতো আদালতের নির্দেশনা পালন করা যাচ্ছে না বলে পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। অথচ বিভিন্ন আইনে পরিবেশ রক্ষার দায়িত্ব পরিবেশ অধিদপ্তরকে দেওয়া আছে। লোকবল ও কার্যালয়ের স্বল্পতার কারণে সংশ্লিষ্ট আইনের বিধানগুলো যথাযথভাবে প্রতিপালন করা যাচ্ছে না। তাই সংস্থাটির কার্যালয়ের সংখ্যা ও জনবল বাড়াতে নির্দেশনা চেয়ে সম্পূরক ওই আবেদন করা হলে হাইকোর্ট রুল দেন। সংশ্লিষ্টদের আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।