উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হবেন এবং তিনি পরিষদকে সাচিবিক সহায়তা দেবেন— আইনের এমন বিধান নিয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
ইউএনও’র এমন ক্ষমতা নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানদের করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে বুধবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। বাংলা নিউজ।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিব, স্থানীয় সরকার সচিবসহ সংশ্লিষ্ট ১৬ জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।
আইনের ৩৩ (১) ধারায় বলা হয়েছে, “উপজেলা নির্বাহী অফিসার পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হইবেন এবং তিনি পরিষদকে সাচিবিক সহায়তা প্রদান করিবেন।
(২) পরিষদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন, আর্থিক শৃঙ্খলা প্রতিপালন এবং বিধি দ্বারা নির্ধারিত অন্যান্য কার্যাবলী পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা সম্পাদন করিবেন। ”
পরে আইনজীবী হাসান এম এস আজিম বলেন, উপজেলা পরিষদে একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি থাকা সত্ত্বেও একজন নির্বাহী কর্মকর্তাকে বেশি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
এটা সাংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এ বিষয়ে রিটের শুনানি নিয়ে রুল জারি করেছেন। উপজেলার বিভিন্ন কমিটিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সভাপতি এবং উপজেলা চেয়ারম্যান উপদেষ্টা থাকবেন বলে বিভিন্ন সময়ে জারি করা পরিপত্র কেন অবৈধ হবে না সেসব বিষয়েও রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
উপজেলা পরিষদ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও দুমকি উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন-অর-রশিদ ও অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মনোহরদী উপজেলা চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম খান, গাজীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান রিনা পারভীন, কালিয়াকৈর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম আহম্মেদ ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রাশেদা আক্তার গত বছরের ৭ ডিসেম্বর এ রিট করেন।