ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১   রাত ১:৩৯ 

সর্বশেষ সংবাদ

ভুমি অধিগ্রহণ না করে টেকনাফ পৌর এলাকায়  উচ্ছেদ কার্যক্রমের ওপর হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা

ভুমি অধিগ্রহণ ছাড়া টেকনাফ বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন প্রধান সড়কের ব্যক্তি মালিকানাধীন বিভিন্ন স্থাপনায় উচ্ছেদ কার্যক্রমমের ওপর  নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে হাইকোর্ট। এর ফলে, সড়ক ও জনপদ বিভাগ এবং টেকনাফ পৌরসভার যৌথ উদ্যোগে সেখানে উচ্ছেদ কার্যক্রম চালাতে পারবে না।
একই সঙ্গে ব্যক্তি মালিকানাধীন বিভিন্ন স্থাপনায় ভুমি অধিগ্রহন ব্যতীত বিনা নোটিশে উচ্ছেদ কার্যক্রমমের প্রক্রিয়া কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা  জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের সচিব,কক্সবাজার জেলা প্রশাসক (ডিসি) ,টেকনাফ পৌরসভার মেয়র, টেকনাফ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং সহকারী কমিশনার ভূমি (এসিল্যন্ডকে) এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত পৃথক পৃথক ছয়টি আবেদন শুনানি নিয়ে বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি মুজিবর রহমান মিয়া বিচারপতি মহিউদ্দীন শামীম এর সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন। তার সাথে ছিলেনএস এম জুলফিকার আলী জুনু। অন্যাদিকে, রাষ্ট্র পক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যার্নি জেনারেটর ব্যারিস্টার নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।

আইনজীবী এসএম জুলফিকার আলী জুনু আরো জানান, টেকনাফ পৌরসভায় সড়ক বর্ধিত করার জন্য সড়ক ও জনপদ এবং টেকনাফ পৌরসভার যৌথ উদ্যোগে সম্প্রতি টেকনাফ বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন প্রধান সড়কের ব্যক্তি মালিকানাধীন বিভিন্ন স্থাপনায় বিনা নোটিশে উচ্ছেদ পরিচালনার জন্য প্রশাসন কর্তৃক লাল দাগ দেয়। এর পরে উচ্ছেদ পরিচালনার জন্য মাইকিং করা হলে তারা ৮ ডিসেম্বরের পরে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সময় দিয়ে এবং নিয়মতান্ত্রিক উচ্ছেদের জন্যে আর্জি জানান। তাতে সাড়া না দেয়ায় হাইকোর্টে রিট করেন ভুমির মালিকরা।

বিনা নোটিশে এবং ক্ষতিপুরণ না দিয়ে উচ্ছেদ কার্যক্রম বন্ধে ওই সব স্থাপনার ৬জন মালিক যথাক্রমে হাজী হামিদ হোসেন, হাজী আব্দুল হাফেজ, মো.সিদ্দিক, বশির আহমেদ, হাজী আব্দুল কাদের ও মো: আলম বাদী হয়ে রিট করেন। ওই রিটের শুনানী করে হাইকোর্ট উচ্ছেদের উপর নিষেধাজ্ঞা ও রুল জারি করেন। 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সবচেয়ে আলোচিত