ডিজিটাল জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ পাচার ও রাজস্ব ফাঁকির মামলায় বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ না করে ফের হাই কোর্টে জামিনের আবেদন করায় পাঁচ আসামিকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে হাই কোর্ট।
সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের ভার্চুয়াল হাই কোর্ট বেঞ্চের নির্দেশে আদালত কর্মকর্তারা আসামিদের পুলিশের হাতে তুলে দেন।
পাঁচ আসামি হলেন-ফরিদপুরের মোফাজ্জেল হোসেন মোল্লা, মো. রাহাত হোসেন, আলাউদ্দিন মোল্লা, রমজান আলী ও পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার মো. সুমন। পাচঁজনই চট্টগ্রামে বসবাস করেন। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।
আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন ফয়সল হাসান আরিফ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
অর্থ পাচার ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রাজধানীর রমনা মডেল থানায় গত বছর ৯ সেপ্টেম্বর এই পাঁচ আসামিসহ ৯ জনকে আসামি করে ঢাকার কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের সহকারি রাজস্ব কর্মকর্তা নিতাই চন্দ্র মন্ডল ও মো. আজিবর রহমান দুটি মামলা করেন।
মামলায় রুটি তৈরির যন্ত্র ও ধূমপানের যন্ত্রপাতি আমদানির ঘোষণা দিয়ে ১ কোটি ৩২ লাখ সিগারেট আমদানি ও ডিজিটাল জালিয়াতির মাধ্যমে কর ফাঁকি দিয়ে পণ্য খালাস করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, এর মাধ্যমে ২ কোটি ৪৭ লাখ ৫১ হাজার ২৪২ টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা পাচার করা হয়েছে। এছাড়া আমদানি-রপ্তানি শুল্ক আদায়ে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা অ্যাসাকুইডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে জালিয়াতি করে ঢুকে রাজস্ব পরিশোধ দেখিয়ে পণ্য খালাস করে নেওয়া হয়েছে। এভাবে ১৬ কোটি ৩৭ লাখ ৯৪ হাজার ২৮৩ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হয়েছে।
এ মামলায় উল্লিখিত ৫ আসামি গত বছর হাই কোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেন। হাই কোর্ট গত বছর ২৪ সেপ্টেম্বর তাদের চার সপ্তাহের জামিন দেয়।
সেই সঙ্গে তাদের নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট। কিন্তু সে আদেশ অনুযায়ী আসামিরা নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ না করে আবার হাই কোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেন।
এতে হাই কোর্ট জামিন না দিয়ে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দিতে নির্দেশ দেয়।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক জানান, “সন্ধ্যা ৬টায় শাহবাগ থানার পুলিশের হাতে পাঁচ আসামিকে হস্তান্তর করা হয়। আগামী চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে তাদের সংশ্লিস্ট আদালতে হাজির করতে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”