হাইকোর্টের নির্দেশের ৫ দিন পর কুড়িগ্রামের সাবেক ডিসি,তিন সহকারী কমিশনারসহ অজ্ঞাত ৪০ জনের বিরুদ্ধে সাংবাদিক আরিফুল ইসলামের দায়ের করা এজাহারটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করেছে থানা পুলিশ। ৩১ মার্চ রাতে মামলাটি রেকর্ড করা হয়।
কুড়িগ্রাম সংবাদাতা জানিয়েছেন, বাংলা ট্রিবিউন পত্রিকার স্থানীয় প্রতিনিধি আরিফুল ইসলামকে ১৩ মার্চ মধ্যরাতে বাড়ি থেকে ধরে এনে মোবাইল কোর্ট বসিয়ে মাদক রাখার অপরাধে এক বছরের কারাদণ্ড ও জরিমানা করে জেলে পাঠানো হয়। এ নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ ও সমালোচনা হলে পরদিনই আরিফুলকে জামিন দেয়া হয়। এ ঘটনায় সরকার উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে। অভিযোগের সত্যতা মেলায় প্রত্যাহার করা হয় ডিসি সুলতানা পারভীন, আরডিসি নাজিম উদ্দিন,সহকারী কমিশনার রিন্টু চাকমা ও রাহাতুল ইসলামকে।
অন্যদিকে জামিনে মুক্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় প্রতিনিধির মাধ্যমে নির্যাতন ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে থানায় এজাহার দায়ের করেন আরিফুল। কিন্তু পুলিশ এজাহারটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করেনি।
এদিকে আরিফুল ইসলামকে দেয়া সাজার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এবং তার উপর নির্যাতনের মামলা গ্রহণ না করায় রিট করেন বাংলা ট্রিবিউনের একজন সাংবাদিক। ২৫ মার্চ বিচারপতি আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের বেঞ্চে শুনানি শেষে সাজা স্থগিত করে সাংবাদিক আরিফুলের করা এজাহার মামলা হিসেবে গ্রহণ করার জন্য কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেয়া হয়। পাশাপাশি আরিফুলকে দেয়া মোবাইল কোর্টের সাজা কেনো অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়।
হাইকোর্টের এই আদেশের কপি পাওয়ার পর ৩১ মার্চ রাতে এজাহারটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয় বলে জানিয়েছেন কুড়িগ্রাম সদর থানার ওসি মাহফুজুর রহমান। তিনি জানান মামলাটি চাঞ্চল্যকর এবং আসামিরা সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হওয়ায় গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হবে।