মধ্যরাতে বাড়িতে হানা দিয়ে অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউনের কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি আরিফুল ইসলামকে মারধর করে তুলে নিয়ে সাজা দেয়ার ঘটনায় কুড়িগ্রামের সাবেক ডিসি সুলতানা পারভীনসহ তিন সহকারি কমিশনারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের চাকরি থেকে কেনো বরখাস্ত করা হবে না তা জানতে চেয়ে নোটিশ দেয়া হয়েছে। বুধবার জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তাদের ১০ দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।
গত ১৩ মার্চ মধ্যরাতে সাংবাদিক আরিফুলের বাড়িতে হানা দিয়ে মারধর করে তাকে ধরে নিয়ে আসা হয়। ডিসি কার্যালয়ে মোবাইল কোর্ট বসিয়ে আধাবোতল মদ ও দেড়শো গ্রাম গাঁজা পাওয়ার অভিযোগে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়ে তাকে জেলে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয় সাংবাদিক ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। পরদিনই তড়িঘড়ি করে আরিফুলকে জামিন দেয়া হয়। এ ঘটনায় সরকার উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ডিসি সুলতানা পারভীন, সহকারি কমিশনার নাজিম উদ্দিন,রিন্টু বিকাশ চাকমা ও রাহাতুল ইসলামকে প্রত্যাহার করে নেয়। তাদের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়।
এ দিকে মধ্যরাতে মোবাইল কোর্ট বসিয়ে সাজা দেয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে জনস্বার্থে রিট করেন বাংলা ট্রিবিউনের আরেক সাংবাদিক। এতে ডিসি সুলতানাসহ জেলা প্রশাসনের তিন কর্মকর্তা এবং অজ্ঞাত ৪০-৫০ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা গ্রহনের জন্য নির্দেশনা চাওয়া হয়। শুনানি শেষে আদালত আরিফুলের সাজা স্থগিত করে দেন এবং কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপারকে সাবেক ডিসিসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা রুজুর নির্দেশ দেন।