সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি এবং ঢাকা আইনজীবী সমিতিতে করোনার টিকা গ্রহণের জন্য বিশেষ দুটি কেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। দুই বারে টিকাকেন্দ্র স্থাপনের জন্য অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ এম আমিন উদ্দিন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে চিঠি দিয়ে অনুরোধ জানিয়েছিলেন। সারাদেশের আইনজীবীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করোনার টিকা দেয়ার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছেও অনুরোধ জানিয়েছিলেন বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
অ্যাটর্নি জেনারেলের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫ আগস্ট স্বাস্থ্য অধিদপ্তেরর পরিচালকের নেতৃত্বে একটি টিম সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবন পরিদর্শন করেন। তারা টিকাকেন্দ্র স্থাপনের সম্ভাব্যতা যাচাই করেন। সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির নেতারা চান অন্তত ১৫ দিনের জন্য যেনো টিকাকেন্দ্র হয় যাতে সব আইনজীবী টিকা নিতে পারেন।
রোববার (৮ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ও লাইন ডাইরেক্টর এমএনসিএন্ডএএইচ এবং কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য সচিবের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে টিকাকেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।
অধিদপ্তরের পরিচালককে (এমআইএস ও লাইন ডাইরেক্টর, এইচআইএস এন্ড ই-হেলথ) কেন্দ্র স্থাপনের বিষয়ে সুপারিশ জানিয়ে চিঠিতে বলা হয়েছে, অ্যাটর্নি জেনারেল গত ৫ আগস্ট স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে একটি পত্র প্রেরণ করেন। পরে তিনি (অ্যাটর্নি জেনারেল) সুপ্রিম কোর্টের ১০ হাজারের বেশি আইনজীবী এবং ঢাকা আইনজীবী সমিতির ২৫ হাজার ৩৩২ জন আইনজীবীর জন্য কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশনের (টিকাদান) লক্ষ্যে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ও ঢাকা আইনজীবী সমিতিতে অস্থায়ীভাবে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন কেন্দ্র স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক লোকবল, ভ্যাকসিন ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক সামগ্রী প্রদান করে কেন্দ্রগুলোর কার্যক্রম অতিদ্রুত চালু করার জন্য অনুরোধ করেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ বিষয়ে সম্মতি প্রদান করেন। একইসঙ্গে ওই কেন্দ্রসমূহকে সুরক্ষা ওয়েবসাইটে অন্তর্ভুক্ত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চিঠিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।