উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায়ের পরিবারগুলোকে আলাদা করছে চীনা প্রশাসন এবং তাদের সন্তানদের সরকার নিয়ন্ত্রিত এতিমখানায় পাঠাচ্ছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুসারে, এক মিলিয়নের বেশি সংখ্যালঘু উইঘুর সম্প্রদায়ের মানুষকে বন্দি করে রেখেছে চীন। যাদের মধ্যে অধিকাংশই মুসলমান। তাদের দিয়ে সেখানে জোরপূর্বক শ্রম খাটানো, নারীদের ওপর যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটছে। -বিবিসি
বিবিসি জানিয়েছে, অঞ্চলটি থেকে পালিয়ে বিদেশে আশ্রয় নেয়া কয়েকজন নির্যাতিত মানুষের বরাত দিয়ে রিপোর্টটি করা হয়েছে। হুমকির মুখে ওই নারীরা তাদের সন্তানদের নিজ দেশে দাদা-দাদির কাছে রেখে এসেছে। কিন্তু ওই শিশুগুলোকে জোর করে ধরে নিয়ে এতিমখানায় পাঠাচ্ছে চীনা কর্তৃপক্ষ। এদিকে, শিশুদের এতিমখানা থেকে মুক্ত করে দিতে চীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। অবশ্য বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে এসব অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। পাশাপাশি এটাও দাবি করা হয়েছে যে, ক্যাম্পগুলোতে তাদের সন্ত্রাসবিরোধী শিক্ষা দেয়া হয়। অ্যামনেস্টি জানিয়েছে, মিহরিবান কাদের এবং আবলিকিম মেমতিনিন নামের দুই উইঘুর নারী পুলিশি নির্যাতনের শিকার হয়ে ২০১৬ সালে ইতালিতে পালিয়ে গিয়ে আশ্রয় গ্রহণ করেন। তাদের চার সন্তানকে দাদা-দাদির কাছে রেখে যান।
কিন্তু দাদিকে ক্যাম্পে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় এবং দাদাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। এ অবস্থায় অন্য আত্বীয়রা সন্তানদের দেখভালোর দায়িত্ব নেয়নি। ২০১৯ সালের নভেম্বরে এই দুই নারী ইতালিতে বৈধভাবে থাকার অনুমতি পান। একইসঙ্গে সন্তানদেরও দেশটিতে নিয়ে আসার জন্য বলে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু শিশুদের আটকে রেখেছে চীনা পুলিশ এবং সরকার নিয়ন্ত্রিত এতিমখানায় পাঠিয়ে দিয়েছে। বর্তমানে আমার সন্তানরা চীন সরকারের হাতে বন্দি। জীবিতকালে তাদের আর দেখতে পাবো কিনা তা নিয়ে আমি সন্দিহান বলছিলেন মিহরিবান কাদের।