হেফাজতে ইসলামের আমির ও দারুল উলুম হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক আহমদ শফীর মৃত্যুকে ‘অস্বাভাবিক’ আখ্যায়িত করে এর বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছে বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতি। সংগঠনটির নেতারা এও দাবি করেন, গত এক সপ্তাহ আগে হাটহাজারী মাদ্রাসায় যে বিক্ষোভ হয়েছে, তা বহিরাগতদের উসকানিতে সংঘটিত হয়েছে।
শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘আল্লামা আহমদ শফীর জীবন ও কর্ম’ শীর্ষক আলোচনা ও দোয়া মাহফিল থেকে এসব দাবি করেন আলেমরা।
হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সভাপতি মুফতি মো. ওয়াক্কাস বলেন, ‘‘আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই, হজরত মাওলানা আহমদ শফী সাহেবের (রহ.) মৃত্যু স্বাভাবিক ছিল না। কোনও সন্দেহ নেই এর মধ্যে আমার। একটি শক্তি হাটহাজারী মাদ্রাসায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে, যার পরিণতিতে আহমদ শফী সাহেবের নির্মম মৃত্যু হয়েছে। যেটাকে বলবো ‘অস্বাভাবিক’ মৃত্যু, স্বাভাবিক মৃত্যু ছিল না।’’
পুরো বিষয়টির বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করে মুফতি ওয়াক্কাস বলেন, ‘যদি এটি বিনা বিচারে ছেড়ে দেওয়া হয়, তাহলে পুরো কওমি অঙ্গনে বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়বে। আল্লামা শফীর এমন নির্মম মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না। এর জন্য আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানাই।’
অনুষ্ঠানে আল্লামা শাহ্ আহমদ শফীর জীবনের শেষ দুই দিনের ঘটনাবলী ও হাটহাজারী মাদ্রাসায় ছাত্র বিক্ষোভ নিয়ে ‘বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি’ করে আট দফা প্রস্তাবনা আকারে ঘোষণাপত্র পাঠ করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন— কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের যুগ্ম মহাসচিব ও ফরিদাবাদ মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মুফতি নুরুল আমিন, জাতীয় দ্বীনি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের সহ-সভাপতি মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ, মিরপুর পল্লবী মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা ওয়াহিদুজ্জামান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, ওলামানগরের পীর মাওলানা মুখলেছুর রহমান কাসেমী, জাতীয় ইমাম সমাজের কেন্দ্রীয় নেতা ও বকশিবাজার মসজিদের খতিব মাওলানা যুবায়ের, ইসলামী ঐক্য মঞ্চের সভাপতি মাওলানা মাসউদুর রহমান বিক্রমপুরী, জমিয়তের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা রেজাউল করিম, বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির মহাসচিব মাওলানা আতাউর রহমান আতিকী প্রমুখ। বাংলা ট্রিবিউন।