নাটোরের নলডাঙ্গার গৃহবধূ হালিমা খাতুন ওরফে শারমিন (২০) ও তাঁর দুই বছরের প্রতিবন্ধী ছেলে আব্দুল্লাহকে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্তে গাফিলতির বিষয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তাকে এমন নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. আমিনুর রহমানকে এই ব্যাখ্যা দাখিল করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে আগামী ১৫ জানুয়ারি তাঁকে আদালতে সশরীরে হাজির থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। গত ১৭ ডিসেম্বর এসআই মো. আমিনুর রহমান হাইকোর্টে হাজির হয়ে মৌখিকভাবে নিঃশর্ত ক্ষমার আবেদন করলেও আদালত তা গ্রহণ না করে তাঁকে ১৫ জানুয়ারি হাজির থাকার নির্দেশ দেন। আদালতের এ আদেশের তথ্য নিশ্চিত করেন সংশ্লিষ্ট আদালতের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
জানা যায়, নাটোরের নলডাঙ্গার বাঁশিলা উত্তর পাড়ার গৃহবধূ হালিমা খাতুন শারমিন ও তাঁর দুই বছরের প্রতিবন্ধী ছেলে আব্দুল্লাহকে হত্যা করা হয়। ঘটনার পরদিন ১৬ মে নিহত গৃহবধূর বাবা ওমর ফারুক বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। মামলায় নিহতের দেবর মাহবুল আলম মুক্তাকে আসামি করা হয়। পুলিশ এদিনই আসামি মুক্তাকে গ্রেপ্তার করে।